রোনালদো লাল কার্ড না দেখায় খেপেছেন তাঁর সাবেক কোচ

:
: ৬ years ago

ইরানের বিপক্ষে ম্যাচে প্রতিপক্ষ দলের এক খেলোয়াড়কে কনুই দিয়ে আঘাত করেছেন রোনালদো। এ জন্য তাঁকে হলুদ কার্ড দেখান রেফারি। ইরান কোচ কার্লোস কুইরোজ সিদ্ধান্তটি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি (ভিএআর) প্রযুক্তিরও সমালোচনা করেছেন তিনি

প্যারাগুয়ে রেফারি এনরিক ক্যাকেরেস ম্যাচটা নিশ্চিতভাবেই বহুদিন মনে রাখবেন। শশব্যস্ত বলতে যা বোঝায় পর্তুগাল-ইরান ম্যাচে ঠিক তেমন সময়ই কাটাতে হয়েছে তাঁকে। শুধু ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারির (ভিএআর) ধরনাই দিতে হয়েছে কয়েকবার! এ ছাড়া ফাউল, দুই দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে উত্তেজনা থামানোর চ্যালেঞ্জ তো ছিলই। কিন্তু এর মাঝেই ক্যাকেরাসের একটি সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ইরান কোচ কার্লোস কুইরোজ। রোনালদো কেন লাল কার্ড দেখলেন না?

 ২০১০ বিশ্বকাপে এই রোনালদোরই কোচ ছিলেন কুইরোজ। পর্তুগিজ এই কোচ সেবার তাঁর দেশকে শেষ ষোলোয় তোলার কয়েক মাস পর ছাঁটাই হন। এবার ইরানের কোচ হিসেবে মুখোমুখি হয়েছিলেন নিজের সাবেক শিষ্যের। কিন্তু আর দশজন পেশাদার কোচের মতোই সাবেক শিষ্যটিকে কোনো রকম ছাড় দেননি কুইরোজ। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে কুইরোজ ধুয়ে দিয়েছেন ভিএআর রেফারিং প্রযুক্তিকে। তাঁর যুক্তি অনেকটাই এ রকম, রোনালদো লাল কার্ড দেখা থেকে বেঁচে গেছেন এই প্রযুক্তির জন্যই।

ম্যাচের তখন ৮৩ মিনিট। বাঁ প্রান্তে ইরানের মোর্তেজা পাউরালিগানজিকে কনুইয়ের আঘাতে ফেলে দেন রোনালদো। তা মাঠের রেফারি ক্যাকেরাসের চোখ এড়িয়ে গেলেও ভিএআর প্রযুক্তিতে ঘটনাটা পুনর্মূল্যায়ন করা হয়। মাঠের বাইরে গিয়ে রেফারি ক্যাকেরাস ঘটনাটা দেখেন এবং তারপর রোনালদোকে হলুদ কার্ড দেখান। কুইরোজ এই সিদ্ধান্ত কোনোভাবেই মেনে নিতে পারেননি। তাঁর ভাষায়, ‘এটা আমার দেশ ও একজন খেলোয়াড়কে নিয়ে। জানি এটা নিয়ে বলা মানে নিজের সঙ্গেই যুদ্ধ করা। কিন্তু ভিএআরের জন্য খেলাটা থামানো হয়েছে। কনুই মারা হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী কনুই মারলে সেটা লাল কার্ড। সেটা যে–ই হোক না কেন—মেসি কিংবা রোনালদো…।’

কিন্তু তা না ঘটায় বিশ্বকাপে এবার অভিষিক্ত প্রযুক্তিটিকে ধুয়ে দিয়েছেন কুইরোজ। তিনি সোজাসাপ্টাই বলেছেন, ‘এর আগে আমরা খেলার অংশ হিসেবে খেলোয়াড়, কোচ কিংবা রেফারিদের ভুল মেনে নিয়েছি। কিন্তু এখন এমন একটি উচ্চ-প্রযুক্তির ব্যবস্থা আছে যেখানে চার-পাঁচজন মানুষ কাজ করছে। কিন্তু কারও কোনো দায়িত্ব নেই। আমাদের তাই রাগবির মতো হওয়া উচিত। যেখানে ভিএআরের সাহায্য নেওয়া হলে রেফারি কী বলছেন সেটা সবাই শুনতে পারে। মানুষ জানতে পারে আসলে কী ঘটছে। ব্যক্তিগত মতামত হলো, ভিএআর ভালো করছে না। এটাই বাস্তবতা।’