রোনালদোর পর্তুগালকে হারিয়ে জর্জিয়ার অঘটন

লেখক:
প্রকাশ: ৫ মাস আগে

পূর্ব ইউরোপ আর পশ্চিম এশিয়ার মাঝে এক টুকরো দেশ জর্জিয়া। বাস মাত্র ৩৭ লক্ষ মানুষের। তারা কি স্বপ্নেও ভেবেছিল এমন কিছু হবে? প্রথমবার ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপে আগমন। প্রথমেই বাজিমাত। বাজিয়েছে অঘটনের ঘণ্টা।

 

 

ভেল্টিনস অ্যারেনায় বুধবার রাতে রূপকথার গল্প লিখেছে জর্জিয়া। পর্তুগালের বিপক্ষে দাপুটে খেলে ২-০ গোলের জয়। ২০১৬ সালের চ্যাম্পিয়ন, ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর মতো মহাতারকা; কোনোটিই ভাবেনি দুই মহাদেশের দেশটি।

প্রথমবার ইউরো খেলতে এসে জায়গা করে নিয়েছে শেষ ষোলোতে। ইউরোতে সবশেষ এমন দেখা দিয়েছিল ২০১৬ সালে, আইসল্যান্ড। গ্রুপ এফ থেকে একটি হার, একটি ড্র ও একটি জয় পেয়েছে জর্জিয়া। গ্রুপের তৃতীয় হলেও সেরা চার তৃতীয় স্থানের একটি হয়ে রূপকথার গল্প লেখে তারা।

 

 

২ মিনিটেই গোল। খাবিচা কাভারাতসখেলিয়ার নিখুঁত ফিনিশিংয়ে শুরুতেই এগিয়ে যায় জর্জিয়া। এরপর যেন আরও হিংস্র হয়ে ওঠে। আক্রমণের পর পর আক্রমণের চেষ্টায় বিধ্বস্ত হয়েছে পর্তুগীজ ডিফেন্স। অন্যদিকে রোনালদোরা ছিলেন ছায়া হয়ে।

 

এলোমেলো পাস, ডি বক্সে গিয়ে লক্ষ্যহীন শট, বল পাস না দেওয়া; যেন দেশটির কোনো পরিকল্পনাই ছিল না। দ্বিতীয়ার্ধে ২০ মিনিট পর রোনালদোকে তুলে নেন কোচ মার্টিনেজ। মানতে পারেননি অধিনায়ক, ডাগআউটে গিয়ে শূন্যে পা ছুঁড়ে ঝরিয়েছেন ক্ষোভ। দেখা গেছে হতাশায় নিংড়ে যেতে।

রোনালদোকে উঠিয়ে নেওয়ার প্রায় মিনিট দশেক আগে দ্বিতীয় গোলটি করে জর্জিয়া। ডি বক্সে লোচোশিবলির গোড়ালিতে পা দিয়ে আঘাত করে অন্টনিও সিলভা। ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারির সহায়তায় জর্জিয়া পেনাল্টি পায়। দ্বিতীয়বার জালে বল জড়িয়ে জর্জেস মিকাওতাদজে।

 

 

শেষ বাঁশি বাজা পর্যন্ত এই সমীকরণই থাকে। মরিয়া পর্তুগাল বহু চেষ্টা করেও গোলের দেখা পায়নি। দুর্দান্ত কিছু শট ঠেকিয়ে দিয়েছেন গোলরক্ষক গিওর্গি। ১০টি শট নিতে পেরেছে মাত্র তারা। তার দুটিতেই গোল। বল পায়ে ছিল মাত্র ২৭ ভাগ সময়। অথচ দেখে মনে হয়েছে কর্তৃত্ব ছিল তাদের হাতে। পর্তুগীজদের আক্রমণ ২৭টি হলেও সব ছিল ভ্রষ্ট-লক্ষ্যে।

অথচ টার্কিশদের কাছে ৩-১ গোলে শুরু হয়েছে জর্জিয়ানদের ইউরোর যাত্রা। দ্বিতীয় ম্যাচে চেক প্রজাতন্ত্রের বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্র। এবার এলো ঐতিহাসিক জয়। প্রথম দুই ম্যাচে জিতে শীর্ষে থাকা পর্তুগাল ৬ পয়েন্ট নিয়ে এখনো শীর্ষে। সমান পয়েন্ট নিয়ে শেষ ষোলোতে পর্তুগীজদের সঙ্গী হয়েছে তুরস্ক। শেষ ষোলোতে পর্তুগাল, তুরস্ক ও জর্জিয়ার প্রতিপক্ষ যথাক্রমে স্লোভেনিয়া, অস্ট্রিয়া ও স্পেন।