রোটারি ইন্টারন্যাশনাল ডিস্ট্রিক্ট ৩২৮১, চলতি রোটারি বর্ষের শততম দিবস পালন উপলক্ষে ৮ অক্টোবর, ২০২২ ঢাকার এক হোটেলে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
মূল্যায়ন সভায় বক্তব্য দেন জেলা গভর্নর ইঞ্জিনিয়ার এম এ ওয়াহাব, সাবেক গভর্নর থায়রুল আলম, ব্যারিস্টার মুতাসিম বিল্লাহ ফারুকী, গভর্নর (নির্বাচিত) আশরাফুজ্জামান নান্নু গভর্নর (নমিনি) ইব্রাহিম খলিল আল জায়াদ পিনাক, ডিস্ট্রিক্ট সেক্রেটারি জেনারেল আরিফ জেবতিক প্রমুখ। মূল্যায়ন সভা পরিচালনা করেন ইভেন্ট চেয়ারম্যান সিপি জহুরুল ইসলাম।
সভায় ডিস্ট্রিক্ট গভর্নর ইঞ্জিনিয়ার এম এ ওয়াহাব জানান যে, চলতি বছর স্থানীয় পর্যায়ে ডিস্ট্রিক্ট গভর্নরের স্লোগান, ‘এভরি আওয়ার রোটারি কেয়ার’ বা ‘প্রতি ঘণ্টায় রোটারির সেবা’ স্লোগানে উদ্বুদ্ধ হয়ে রোটারি ক্লাবগুলো ব্যাপক কর্মতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। গত জুলাই থেকে গড়ে প্রতি মাসে ৩০০টির বেশি সেবা কার্যক্রমে কমপক্ষে ৩০ লাখ টাকা করে ব্যয় হচ্ছে।
ডিস্ট্রিক্ট গভর্নর জানান, ক্লাবগুলোর সেবা কার্যক্রমকে উৎসাহ দিতে গভর্নর প্রথম ১০০ দিনে প্রায় ২০০ ক্লাব পরিদর্শন করেছেন। গড়ে প্রতিদিন দুইটির বেশি ক্লাব পরিদর্শনের এই ধারা অব্যাহত থাকবে বলেও গভর্নর জানান।
এছাড়াও সভায় রোটারিয়ানদের অবগত করা হয় যে, প্রথম ১০০ দিনের মধ্যে ৭ লাখ মার্কিন ডলার সমপরিমাণ অর্থ রোটারি ফাউন্ডেশনে দানের প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে। এছাড়াও প্রায় ৫ লাখ মার্কিন ডলার মূল্যের গ্লোবাল গ্রান্ট অনুমোদিত হয়েছে, যার মাধ্যমে রোটারি ইন্টারন্যাশনাল স্থানীয় ক্লাবগুলোকে সাথে নিয়ে বাংলাদেশে বিভিন্ন প্রজেক্ট পরিচালনা করবে।
মূল্যায়ন সভায় বক্তারা গুরুত্ব দিয়ে বলেন, চলতি বছর প্রথম ৪০ দিনের মধ্যে রোটারি ইন্টারন্যাশনাল প্রেসিডেন্ট জেনিফার জোন্স ও সাবেক প্রেসিডেন্ট হনগার নাকের বাংলাদেশ ভ্রমণ দুটো বিরল ঘটনা। এর আগে কোনো রোটারি ইন্টারন্যাশনাল প্রেসিডেন্ট বছরের শুরুতে বাংলাদেশ ভ্রমণ করেননি।
ডিস্ট্রিক্ট গভর্নর ইঞ্জিনিয়ার এম. এ ওয়াহার সভায় আহ্বান জানিয়ে বলেন, বদলে যাওয়া বিশ্ব পরিস্থিতির সাথে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যেতে রোটারিকে আরো বেশি অভিযোজন ও পরিবর্তনশীল হতে হবে। তিনি জানান, পরিবেশ রক্ষার প্রত্যয় হিসেবে এবছর ডিস্ট্রিক্ট ডিরেক্টরি, ওসিভি ডকুমেন্ট, জিএমএলের মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রকাশনাগুলোকে ডিজিটালাইজড করা এবং গভর্নর অফিসকে পেপারলেস করার কর্মসূচি চালু হয়েছে।
বিশ্বশান্তির প্রভাবে রোটারির চিরন্তন প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে গভর্নর বলেন, ইউক্রেন সংকটে বাংলাদেশের রোটারিয়ানরা সহায়তা করতে উদগ্রীব, কিন্তু বিশ্ব অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে এই মুহূর্তে বাংলাদেশ থেকে আর্থিক সহায়তা প্রেরণের বিধিনিষেধকে রোটারি বাংলাদেশ সম্মান করে চলবে। এই সভায় বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অর্ধ সহস্রাধিক রোটারিয়ান যোগদান করেন।