রোজা রেখে সাইকেলে ১৬৫ কিলোমিটার পাড়ি, নেপথ্যে প্রতিবাদ

:
: ১ বছর আগে

ঈদে গণপরিবহনে বাড়তি ভাড়া আদায়ের প্রতিবাদে ১৬৫ কিলোমিটার সাইকেল চালিয়ে কুমিল্লা থেকে কিশোরগঞ্জ এসেছেন আরিফুল নামের এক যুবক। তার এমন কাণ্ডে হতবাক হলেও বাহবা দিচ্ছেন সবাই।

সাধারণ মানুষ মনে করেন, ঈদ আসলেই গণপরিবহনে বাড়তি ভাড়া আদায়ের এক প্রতিযোগিতা শুরু হয়। আর ঈদকে ঘিরে সবাই বিষয়টি এড়িয়ে যান। ঈদযাত্রায় গণপরিবহনে বাড়তি ভাড়া আদায়ের বিষয়টি সরকারের নজরদারিতে আনার দাবি জানান তারা।

 

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলার ফাইজুর রহমান ভূঁইয়ার ছেলে মো. আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া কুমিল্লায় একটি ফ্যাক্টরিতে এক্সিকিউটিভ অফিসার হিসেবে কর্মরত আছেন। ঈদের ছুটিতে বাড়ি আসার উদ্দেশ্যে গত বুধবার বাস কাউন্টারে আসেন তিনি। কিন্তু বাড়তি ভাড়ার কথা শুনে এর প্রতিবাদে এক অভিনয় কায়দা বেছে নেন।

বুধবার সকাল ৭টায় কুমিল্লা ইপিজেড থেকে সাইকেলে যাত্রা শুরু করেন তিনি। পরের দিন বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় কিশোরগঞ্জ শহরের সরকারী গুরুদয়াল সরকারি কলেজে পৌঁছান আরিফ। দীর্ঘ ২৭ ঘণ্টা সাইকেল চালান তিনি।

আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘চাকরির সুবাদে গত ১০ বছর ধরে কুমিল্লায় বসবাস করি। সারাবছর গণপরিবহনে ভাড়া একটি জায়গায় স্থির থাকলেও ঈদ আসলেই ভৌতিকভাবে সেটা বেড়ে যায়। আর এই ব্যাপারটি নিয়ে কোনও প্রতিবাদ হয় না।’

 

তিনি আরও বলেন, ‘কিছুদিন আগেও ৫০০ টাকা ভাড়ায় কিশোরগঞ্জের বড়পুল মোড় থেকে কুমিল্লায় আসি। সেই ভাড়া এখন হয়ে গেছে ৭০০ টাকা। আবার নির্ধারিত কোনও ভাড়ার তালিকাও নেই। একেক পরিবহনে একেক রকম ভাড়া নেওয়া হচ্ছে যাত্রীদের কাছ থেকে।’

আরিফুল ইসলাম জানান, গণপরিবহনে বাড়তি ভাড়া আদায়ের প্রতিবাদে কুমিল্লা থেকে সাইকেল চালিয়ে কিশোরগঞ্জ এসেছেন। কষ্ট হলেও এমন প্রতিবাদে শান্তি রয়েছে দাবি করেন তিনি।

তবে, দীর্ঘ সাইকেল যাত্রা মোটেও সহজ ছিল না তার জন্য। প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ উপেক্ষা করে রোজা রেখেও দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়েছেন। বুধবার রাতে কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলার ছয়সূতি বাজারে পৌঁছালে হাইওয়ে পুলিশের সহায়তায় রাত্রিযাপন করেন। পরে রওনা দিয়ে আজ সকাল ১০টায় কিশোরগঞ্জ শহরে পৌঁছান।