রেল কর্মকর্তাদের সাক্ষাৎ মেলেনিঃ ৬ ঘণ্টা পর কমলাপুর ছাড়লেন জাফরুল্লাহ চৌধুরী

লেখক:
প্রকাশ: ২ years ago

রেলওয়ের অনিয়ম, দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে আন্দোলন করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন রনি। তার সঙ্গে সংহতি জানিয়ে রোববার (২৪ জুলাই) বিকেলে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে যান গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তবে তাকে স্টেশনে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। রেলওয়ে কর্মকর্তাদের সাক্ষাৎও পাননি তিনি। পরে তিনি স্টেশনের সামনে অবস্থান নেন।

বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত স্টেশনের সামনে অবস্থান নেওয়া ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর সঙ্গে সংহতি জানিয়ে রাতে সেখানে যান গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি ও গণ অধিকার পরিষদের সদস্যসচিব নুরুল হক নুর।

রোববার (২৪ জুলাই) রাত ৯টার দিকে কমলাপুর স্টেশনে যান জোনায়েদ সাকি। এরপর রাত ১০টার কিছু সময় পর সেখানে যান নুরুল হক নুরও।

তবে প্রায় ৬ ঘণ্টা স্টেশনের প্রবেশপথে অবস্থান নিয়েও রেল কর্মকর্তাদের সাক্ষাৎ পাননি জাফরুল্লাহ চৌধুরী ও আন্দোলনকারীরা। পরে রাত ১১টার দিকে তারা কমলাপুর স্টেশন এলাকা থেকে চলে যান।

 

এরআগে বিকেল ৪টার দিকে স্টেশনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করতে যান মহিউদ্দিন রনিসহ অন্য শিক্ষার্থীরা। তবে তাদেরকে ঢুকতে দেননি রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী (আরএনবি) ও আনসার সদস্যরা। ফলে রনি ও তার সহযোগীরা স্টেশনের বাইরে অবস্থান নিয়ে প্রতিবাদ জানান। বিকেল পৌনে ৫টার দিকে স্টেশনে যান ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

বিকেল সোয়া ৫টার দিকে মহিউদ্দিন রনিকে নিয়ে ডা. জাফরুল্লাহ কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজারের সঙ্গে দেখা করার জন্য হুইল চেয়ারে বসে যেতে চাইলে তাকে বাধা দেওয়া হয়। বন্ধ করে দেওয়া হয় গেটও।

এসময় জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘প্রতিটি ভালো কাজের প্রতি আমাদের সমর্থন থাকে। আমি সম্পূর্ণ ব্যক্তিগতভাবে এখানে এসেছি। প্রবেশের অনুমতি না দেওয়া পর্যন্ত এখানেই অবস্থান নিয়ে থাকবো।’

 

একপর্যায়ে শুধু জাফরুল্লাহ চৌধুরীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চান রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। স্টেশনমাস্টার আনোয়ার হোসেন ফটকের কাছে এসে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে বলেন, ‘আপনি শুধু ভেতরে প্রবেশ করতে পারবেন। বাকিদের প্রবেশের অনুমতি নেই।’

জবাবে ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, ‘আমাদের পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দলকে ভেতরে প্রবেশের অনুমতি দিতে হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত অনুমতি দেওয়া না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি চলবে। আমরা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দেখা করতে চাই।’

তবে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জাফরুল্লাহ চৌধুরী এ আবেদনে সাড়া দেননি। ফলে তাদেরকে ভেতরেও ঢুকতে দেওয়া হয়নি। এমন অবস্থায় স্টেশনের ফটকে অবস্থান নেন জাফরুল্লাহ চৌধুরী ও আন্দোলনকারীরা।