রেমালে জলাবদ্ধতা, মৃত্যুর পর তিন দিন ঘরের আড়ায় ঝুলছিল লাশ

:
: ১ মাস আগে

ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে বাগেরহাটে জলাবদ্ধতা থাকায় মৃত্যুর তিন দিন পরে উরফুল বেগম (৮০) নামে এক বৃদ্ধার দাফন সম্পন্ন হয়েছে। বুধবার (২৯ মে) স্থানীয়দের সহায়তায় স্বজনেরা কাঠের বাক্সে পানির মধ্যেই ওই নারীর দাফন সম্পন্ন করেন।

 

এর আগে, গত রোববার রাতে বার্ধক্যজনিত কারণে মোরেলগঞ্জ উপজেলার বারুইখালী ইউনিয়নের পায়লাতলা গ্রামের হোসেম আলী হাওলাদারের স্ত্রী উরফুল বেগমের মৃত্যু হয়। সে সময় পুরো এলাকা পানির নিচে থাকায় দাফন নিয়ে চিন্তায় পড়েন স্বজনেরা। পরে লাশ খাটিয়ায় রেখে ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা হয়।

স্থানীয়রা জানান, পানির কারণে তিন দিন দাফনের ব্যবস্থা করা যায়নি। পুরো এলাকা জলাবদ্ধতা, বিদ্যুৎ ও মোবাইলে নেটওয়ার্ক না থাকায় কারও সহযোগিতাও নেওয়া সম্ভব হয়নি। একপর্যায়ে বাধ্য হয়ে কাঠের বাক্সে পানির মধ্যেই কবর দেওয়া হয় তাকে।

 

উরফুল বেগমের ছেলে দেলোয়ার হাওলাদার বলেন, রোববার রাতে মা মারা যায়। তখন প্রচণ্ড ঝড়বৃষ্টি হচ্ছিল। বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে পুরো এলাকা তলিয়ে যায়। বিদ্যুৎ ও মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্ক না থাকায় কারও সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারিনি। কোথাও যাব, পানির জন্য সেটাও পারিনি। পরে প্রতিবেশীদের সঙ্গে পরামর্শ করে লাশ খাটিয়ায় রেখে ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখি। তিন দিন পর আজ একটু পানি কমায় বড় বাক্সে ভড়ে পানির ভেতরই কবর খুঁড়ে দাফন করেছি।

স্থানীয় নারী ইউপি সদস্য হালিমা বেগম বলেন, রোববার রাতে ওই নারী মারা গেছেন। তিন দিন পর আজ স্থানীয়দের সহযোগিতায় পানির মধ্যেই তাকে দাফন করা হয়েছে।

 

তিনি আরও বলেন, ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে পুরো এলাকা পানির নিচে। যে কারণে দাফন করতে দেরি হয়েছে। উরফুল বেগমের সাত ছেলে ও তিন মেয়ে। এক ছেলে ছাড়া বাকিরা জীবিকার প্রয়োজনে বাড়ির বাহিরে থাকেন। তাদের খবর দেওয়া হয়েছে।