নিজস্ব প্রতিবেদকঃ- করোনা ভাইরাসের কারণে সারা বিশ্ব যখন স্থবির। বাংলাদেশেও উদ্ভেগজনক হারে বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা। করোনা মোকাবেলায় সরকার নানামুখি পদক্ষেপ নিচ্ছেন। তার অংশ হিসাবে অধিক আক্রান্ত এলাকাকে রেড জোন, অপেক্ষাকৃত কম আক্রান্ত এলাকাকে ইয়েলো জোন, একেবারে কম বা করোনা নেই এলাকাকে গ্রিন জোন হিসেবে চিহ্নিত করার কাজ করছে সরকার। রেড জোন চিহ্নিত করে লকডাউন ঘোষনা এবং ঐ এলাকায় সাধারণ ছুটি দেওয়ার ঘোষনা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। ইতিমধ্যে খুলনা জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা ৪৬৭ জন।
বিজ্ঞ সিভিল সার্জন জেলার ১৪টি পয়েন্টকে রেড জোন ঘোষনার জন্য জেলা প্রশাসক ও বিভাগীর স্বাস্থ্য পরিচালকের চিঠি দিয়েছেন। এরি মধ্যে আগামী ২০ জুন ইউনিয়ন পরিষদের হিসাব সহকামী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদের জন্য নিয়োগ পরিক্ষার তারিখ ধার্য্য করেছেন জেলা প্রশাসন। সুশীল সমাজ, সুধি মহল হিসাব সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে নিয়োগ পরিক্ষা নেওয়ার বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
শিক্ষামন্ত্রনালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল খায়ের গত ১৫ জুন আগামী ০৬ আগষ্ট পর্যন্ত সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার বিষেয়টি গণমাধ্যমেকে অবহিত করেন।
যেখানে ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাওয়া নিষেধ সেখানে ঐ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শতশত নিয়োগ পরিক্ষার্থীকে একসাথে জড়ো করা কতটুকু যুক্তিক ! এতে করোনা ছড়ালে এর দ্বায় কে নিবেন ? কিংবা ইতিমধ্যে কোন নিয়োগ পরিক্ষার্থী করোনা আক্রান্ত থাকলে তাকে পরিক্ষা দেওয়া থেকে বঞ্চিত করাই কতো টুকো যুক্তিক? নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন জানান, জেলা প্রশাসক হয়তো আশা করেছিলে করোনার প্রকোপ কমবে তাই হয়তো পরিক্ষার তারিখ ধার্য্য করেছিল। করোনা পরিস্থিতি যেহেতেু খারাপ হচ্ছে এখন হয়তো পরিক্ষা নিবেন না। উল্লেখ্য পার্শ্ববতী বাঘেরহাট, নড়াইল, ঝিনাইদাহ কুষ্ঠিয়া, যশোর জেলায় এখনো হিসাব সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে নিয়োগ পরিক্ষা হয়নি।
একাধিক উদ্যোক্তা সাথে কথা হলে তারা বলেন
দীর্ঘ দশ বছর যাবৎ ইউনিয়ন পরিষদে বিনা বেতনে পরিষদের সকল দাপ্তরিক কার্যক্রমসহ রাষ্ট্রের এই দুঃসময়ে ইউডিসি উদ্যোক্তারা এগিয়ে আসলেও ইউনিয়ন পরিষদের হিসাব সহকারী পদে কিছু জেলায় নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এমনকি উচ্চ আদালত থেকে রীটকারী উদ্যোক্তাদের অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে নিয়োগ দেয়ার কথা বলা হলেও আদালতের নির্দেশ অমান্য করেছেন নিয়োগ সংশ্লিষ্টরা।
ভাইরাসের কারণে ইউডিসিতে বসে উদ্যোক্তারা সারাদিন ত্রাণের তালিকা করলেও উদ্যোক্তাদের ব্যাপারে কারোই নজর নেই। ফলে পরিবার নিয়ে মানববেতর জীবন-যাপন করছেন অনেক ইউডিসির উদ্যোক্তারা।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টআকর্ষন করছি, মাগো আপনার ডিজিটাল সন্তানদের একটু সু-নজর দিন।