রেকর্ডময় ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ, সবার ওপরে স্পেন

লেখক:
প্রকাশ: ৪ মাস আগে

স্পেন ও ইংল্যান্ডের শ্বাসরুদ্ধকর ফাইনাল দিয়ে রোববার রাতে শেষ হয়েছে ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের সতেরতম আসর। জার্মানিতে শেষ হওয়া এবারের আসর ছিল রেকর্ডময়। আর রেকর্ড গড়ার ক্ষেত্রে সবার ওপরে স্পেন। সবচেয়ে মর্যাদার রেকর্ডটিও তাদের, প্রথম দল হিসেবে চতুর্থবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ইউরোপের সবচেয়ে বড় এই ফুটবল টুর্নামেন্টে।

১৯৬০ সালে যাত্রা করা এই মহাদেশীয় টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় আসরেই চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল স্পেন। এরপর ২০০৮ ও ২০১২ সালে ইউরো জিতে জার্মানির সমান ৩বার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কৃতিত্ব দেখায় তারা। এবার তারা চতুর্থবার চ্যাম্পিয়ন হয়ে ছাড়িয়ে গেলো অন্যদের। সবচেয়ে বেশি চ্যাম্পিয়ন হওয়া একমাত্র দল এখন স্পেন।

 

স্পেন প্রথম দল হিসেবে দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন হলো গ্রুপ ও নকআউট পর্বে সব ম্যাচ জিতে। এর আগে ২০০৮ সালে এই কৃতিত্ব দেখিয়েছিল তারা। সব ম্যাচ জিতে চ্যাম্পিয়ন হওয়া অন্য দুই দেশ ফ্রান্স ও ইতালি। ফ্রান্স ১৯৮৪ ও ইতালি ২০২০ আসরে এই কৃতিত্ব দেখিয়েছিল।

ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপে স্পেন একমাত্র দল যারা ৭ ম্যাাচ জিতেছে কোনো পেনাল্টি ছাড়া। ৭ ম্যাচে স্পেন ১৫ গোল করেছে। কোনো আসরে এটিই একটি দেশের সবচেয়ে বেশি গোল। আগের ১৪ গোলের রেকর্ড ছিল ফ্রান্সের ১৯৮৪ সালে। স্পেনের ১৫ গোল করেছেন ১০ খেলোয়াড়। এটাও একটা রেকর্ড।

 

স্পেনের তরুণ তুর্কি লামিনে ইয়ামালের ঝুলিতেই জমা হয়েছে বেশ কয়েটি রেকর্ড। স্পেনের প্রথম ম্যাচে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে মাঠে নেমে ইয়ামাল করেছেন সবচেয়ে কম বয়সে ইউরো খেলার রেকর্ড। ১৬ বছর ৩৩৮ দিনে ইউরোতে অভিষেক হয়েছে তার।

আগের আসরে ১৭ বছর ২৪৬ দিনে খেলে রেকর্ড করেছিলেন পোল্যান্ডের ক্যাসপার কজলস্কি। সেমিফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে গোল করে ইউরোতে সবচেয়ে কম বয়সী খেলোয়াড় হিসেবে গোলের রেকর্ড গড়েছেন ইয়ামাল। তিনি ১৬ বছর ৩৬২ দিনে গোল করে ভেঙ্গেছেন ২০০৪ সালে সুইজারল্যান্ডের ইয়োহান ভনলাথেনের ১৮ বছর ১৪১ দিনে করা গোলের রেকর্ড।

ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপে দ্রুততম গোলের রেকর্ড গড়েছেন আলবেনিয়ার নেদিম বাজরামি। ইতালির বিপক্ষে ২৩ সেকেন্ডে গোল করে তিনি ভেঙ্গেছেন ২০০৪ সালে গ্রিসের বিপক্ষে রাশিয়ার দিমিত্রি কিরিচেঙ্কোর ৬৭ সেকেন্ডে করা গোলের রেকর্ড।

 

ফ্রান্সের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালে ৪১ বছর ১৩০ দিন বয়সে মাঠে নেমে সবচেয়ে বেশি বয়সী ফুটবলার হিসেবে ইউরোতে খেলার রেকর্ড গড়েছেন পর্তুগালের পেপে। তিনি ভেঙ্গেছেন ২০১৬ সালে হাঙ্গেরির গ্যাবর কিরালির ৪০ বছর ৮৬ দিনে খেলার রেকর্ড।

ষষ্ঠবার ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ ছিলো পর্তুগালের ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর। তিনিই সবচেয়ে বেশি ইউরো খেলা ফুটবলার। গ্রুপ পর্বে ইতালির জালে বল পাঠিয়ে ইউরোতে সবচেয়ে বেশি বয়সী খেলোয়াড় হিসেবে গোলের রেকর্ড গড়েছেন ক্রোয়েশিয়ার লুকা মদ্রিচ। ৩৮ বছর ২৮৯ দিন বয়সে গোল করে তিনি ভেঙ্গেছেন ২০০৮ সালে পোল্যান্ডের বিপক্ষে আইভিকা ভাস্টিচের করা ৩৮ বছর ২৫৭ দিন বয়সে করা গোলের রেকর্ড।

হাঙ্গেরির কেভিন ইনজুরি সময়ের দশম মিনিটে গোল করেছেন স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে। ইউরোর ইতিহাসে এটি বাড়িয়ে দেওয়া সবচেয়ে বেশি সময়ে করা গোল। গ্রুপ পর্বে চেক প্রজাতন্ত্র ও তুরস্কের ম্যাচে রেকর্ড ১৯ বার কার্ড ব্যবহার করেছেন রেফারি। এর মধ্যে দুটি লালকার্ড ও ১৭ টি হলুদ কার্ড। ২০১৬ সালে ১০টি কার্ড ছিল পর্তুগাল ও ফ্রান্সের ফাইনাল ম্যাচে।

শেষ ষোলো রাউন্ডে পর্তুগালের গোলরক্ষক দিয়োগো কস্তা টাইব্রেকারে ৩টি সেভ করে রেকর্ড গড়েছেন স্লোভেনিয়ার বিপক্ষে। স্লোভেনিয়া ইউরোর প্রথম দল হিসেবে টাইব্রেকারের সব শট মিস করেছে।