রূপাতলীতে স্কুল ছাত্রের প্রাণ কেড়ে নেয়া ‘হৃদয়’কে খুঁজছে পুলিশ

:
: ৭ years ago

নগরীর রূপাতলী এলাকায় সিনিয়র-জুনিয়র নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে নিহত স্কুল ছাত্র আবু সালেহ’র (১৮) হত্যাকারী হৃদয়কে খুঁজছে পুলিশ। রোববার রাত আনুমানিক সাড়ে ৮টায় রুপাতলীর শের-ই-বাংলা রোডের একটি বন্ধ চায়ের দোকানের সামনে এসএসসি পরীক্ষার্থী আবু সালেহ’র ওপর হামলা চালায় একই এলাকার কলেজ পড়ুয়া যুবক হৃদয়। রাত ১০ টার দিকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এর আগে নগরের আবু সালেহর ওপর হামলা হয়। আবু সালেহ নগরের রুপাতলী এলাকার শের-ই-বাংলা রোডের ‍মৃধা বাড়ির লিটন মৃধার ছেলে। তিনি বরিশাল নগরের নূরিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন।

ঘটনার পর থেকেই পলাতক রয়েছে হত্যাকারী হিসেবে অভিযুক্ত হৃদয়। এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত (বেলা ১২টা) হত্যাকান্ডের ঘটনায় কোন মামলা হয়নি বলে কোতয়ালি মডেল থানার সেকেন্ড অফিসার এস.আই সত্যরঞ্জন খাসকেল যুগ যুগান্তরকে জানিয়েছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কয়েকদিন আগে সিনিয়র-জুনিয়র নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে আবু সালেহর সঙ্গে একই এলাকার হৃদয় নামে এক যুবকের বাকবিতণ্ডা হয়। এ নিয়ে তাদের মধ্যে মারামারি হলে স্থানীয় পর্যায়ে তাৎক্ষণিক তা মীমাংসা করে দেওয়া হয়। রোববার রাতে আবু সালেহ বাড়ির সামনের সড়কের একটি বন্ধ দোকানের সামনে গিয়ে দাঁড়ালে হৃদয় তার ওপর হামলা চালায়। পরে গুরুত্বর আহত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

অপরদিকে নিহতের মামা মাসুম বিল্লাহ জানান, খেলা নিয়ে বিরোধের জের ধরে আবু সালেহর ওপর ক্ষিপ্ত ছিল হৃদয়। রাতে আবু সালেহ প্রাইভেট পড়া শেষে বাড়ির সামনের সড়কে গিয়ে দাড়ালে শাপল দিয়ে তার শরীর ও মাথায় আঘাত করেন হৃদয়।

হত্যাকারী হৃদয় ওই এলাকার আতাউর রহমান সুজনের ছেলে ও নগরীর সরকারি সৈয়দ হাতেম আলী কলেজের এইচএসসি ১ম বর্ষের ছাত্র।

বরিশাল কোতয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহ মোঃ আওলাদ হোসেন যুগ যুগান্তরকে বলেন, এ হত্যাকান্ডে প্রাথমিক অভিযুক্ত কলেজ ছাত্র হৃদয় এখনো আটক হয়নি। অভিযান চলছে।