শেষ বলে প্রয়োজন ছিল ৩ রান। ইভান্সের ফুল বলে লং অনে ড্রাইভ করেন শাহীন শাহ আফ্রিদি। বল কুড়িয়ে মুহূর্তেই উইকেটরক্ষক চাকাভার কাছে পাঠিয়ে দেন সিকান্দার রাজা। রোমাঞ্চিত চাকাভা বেশ কয়েকবারের চেষ্টায় স্ট্যাম্প ভাঙ্গেন। ১ রানের বেশি নিতে পারেননি আফ্রিদি। ১ রানে হারে পাকিস্তান।
স্কোরবোর্ডে পুঁজি বেশি ছিল না। তবে মানসিকতায় ছিল দৃঢ়তা। সেটারই পুরষ্কার পেলো জিম্বাবুয়ে। মাত্র ১৩০ রান করেই শক্তিশালী পাকিস্তানের বিপক্ষে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে। এটি যেন বিশ্বাসই হয়নি ব্রাড ইভান্সের। তাইতো জয়ের পর উইকেটে শুয়ে অঝোরে কাঁদলেন।
পার্থে টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে জিম্বাবুয়ে ৮ উইকেটে ১৩০ রান করে। রান তাড়ায় নেমে ৮ উইকেটে ১২৯ রান করে পাকিস্তান।
শুরু থেকে ধীর গতিতে খেলে পাকিস্তান। ৩৬ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ধাক্কা খায়। তবে শান মাসুদ-শাদাব খানের ফিফটির জুটিতে এনে দেয় স্বস্তি। সিকান্দার রাজাকে ৬ মেরে পরের বলেই আবার মারতে যেয়ে লং অফে ধরা পড়েন শাদাব (১৭)। ভেঙে যায় ৫২ রানের জুটি। পরের বলে ক্রিজে এসেই আউট হন হায়দার আলী (০)।
১৪তম ওভারে রাজার জোড়া উইকেটে বদলে যায় ম্যাচের দৃশ্যপট। তবুও শান মাসুদ ক্রিজে থাকায় কিছুটা স্বস্তি ছিল পাকিস্তানের। ১৬তম ওভারে আবার হন্তারক হয়ে আসেন রাজা। স্ট্যাম্পিং হয়ে ফেরেন শান। তার ব্যাট থেকে আসে সর্বোচ্চ ৩৯ বলে ৪৪ রান। শেষ ৫ ওভারে পাকিস্তানের প্রয়োজন ছিল ৩২। মোহাম্মদ নাওয়াজের মতো ব্যাটসম্যান থাকলেও কোনো কাজে আসেনি।
শেষ ৩০ বলে পাকিস্তান নেয় ৩০ রান। হারায় ২ উইকেট। ডেথ ওভারে দুর্দান্ত বোলিং করেন এনগ্রাভা-মুজরাবানি-ইভান্স। এনগ্রাভা শেষ ১৭ ও ১৯তম ওভারে দেন ১৪ রান। মুজরাবনি ১৮তম ওভারে দেন ৭ ও ইভান্স শেষ ওভারে ১ উইকেটে নিয়ে দেন ৯ রান।
৪ ওভারে ২৫ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হন রাজা। এ ছাড়া ইভান্স ২ ও মুজরাবানি-জংওয়ে নেন ১টি করে উইকেট।
এর আগে, জিম্বাবুয়ে দারুণ শুরু করেও বড় পুঁজি গড়তে পারেনি। জিম্বাবুয়ের পক্ষে ৩ চারে ২৮ বলে সর্বোচ্চ ৩১ রান আসে উইলিয়ামসের ব্যাটে। লক্ষ্য দেয় ১৩১ রানের।
প্রথম চার ওভারে তারা তুলে ৩৮ রান। পঞ্চম ওভারের শেষ বলে ক্রেইগ আরভিন সাজঘরে ফেরত গেলে তাদের উদ্বোধনী জুটি ভাঙে। ১৯ বলে ১৯ রান করে হারিস রউফের বলে মোহাম্মদ ওয়াসিমের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি।
১৩ বলে ১৭ রান করে আরেক ওপেনার ওয়েসলি মাদাভেরেও সাজঘরে ফেরত যান মোহাম্মদ ওয়াসিমের বলে বোল্ড হয়ে। এরপরেও জিম্বাবুয়েকে কক্ষপথে রেখেছিলেন শন উইলিয়ামস। তাদের ব্যাটিং লণ্ডভণ্ড করে দেন মোহাম্মদ ওয়াসিম। শন উইলিয়ামস ও রেজিস চাকাভাকে টানা দুই বলে ফেরান তিনি।
পাকিস্তানের পক্ষে ৪ ওভারে ২৪ রান দিয়ে চার উইকেট নেন ওয়াসিম। ৪ ওভারে ২৩ রান দিয়ে তিন উইকেট পান শাদাব খান।