বাংলাদেশে রাসায়নিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে একটি জাতীয় নীতিমালা এবং এর সমন্বয়কারী সংস্থা তৈরি করার পরামর্শ দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় কর্তৃপক্ষ, রাসায়নিক অস্ত্র কনভেনশন (বিএনএসিডব্লিউসি)।
মঙ্গলবার (২২ ডিসেম্বর) বিএনএসিডক্লিউসির ১৬তম সাধারণ সভায় এ বিষয়ে আলোচনা হয়। সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ, ঢাকা সেনানিবাসে ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় বিএনএসিডক্লিউসির নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান ও সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (পিএসও) লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান সভাপতিত্ব করেন। সভায় বাংলাদেশ জাতীয় কর্তৃপক্ষ, রাসায়নিক অস্ত্র কনভেনশন এর সদস্য হিসেবে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, সংস্থা এবং সশস্ত্র বাহিনীর দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা অনলাইনে যুক্ত হন।
জাতীয় কর্তৃপক্ষের বর্তমান কর্মকান্ড ও ভবিষ্যত কর্মসূচি নিয়ে সভায় আলোচনা ও প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
রাসায়নিক দুর্যোগ ও দুর্ঘটনা মোকাবেলায় সশস্ত্র বাহিনী, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এবং বাংলাদেশ পুলিশ তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধি সম্পর্কে সবাইকে অবহিত করেন। এছাড়াও, দেশের সকল স্থল, সমুদ্র ও বিমান বন্দরে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ কর্তৃক রাসায়নিক দ্রব্য, বিশেষ করে তফসিলভুক্ত রাসায়নিক দ্রব্য শনাক্তকরণের জন্য বিদ্যমান রাসায়নিক ল্যাবরেটরী সমূহের সক্ষমতা বৃদ্ধি সম্পর্কে কাস্টমসের প্রতিনিধি সভার সবাইকে অবহিত করেন।
বাংলাদেশে রাসায়নিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে একটি জাতীয় নীতিমালা এবং এর সমন্বয়কারী সংস্থা তৈরির ব্যাপারে সভায় আলোচনা করা হয়। রাসায়নিক নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে সভাপতি গুরুত্ব আরোপ করেন।
বর্তমান কোভিড পরিস্থিতিতে বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে সক্ষমতা বৃদ্ধির বিভিন্ন কার্যক্রম চলমান রাখার ব্যাপারে লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান মত প্রকাশ করেন।
তিনি বাংলাদেশে তফসিলভুক্ত রাসায়নিক দ্রব্য সংক্রান্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সবাইকে একযোগে কাজ করারও আহ্বান জানান।