#

ক্ষমতার অপব্যবহার করে চিকিৎসা ভাতা হিসেবে নেওয়া ২৭ লাখ ৮৬ হাজার ৩৬৪ টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দিয়েছেন সাবেক স্পিকার জমির উদ্দিন সরকার।

মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) দুপুরে জমির উদ্দিন সরকারের পক্ষে তার অন্যতম আইনজীবী হান্নান ভূঁইয়া সোনালী ব্যাংকের হাইকোর্ট শাখায় এ টাকা জমা দেন।

গত বছর ২৫ আগস্ট প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে আপিল বেঞ্চ জমির উদ্দিন সরকারের দুর্নীতির পাঁচটি মামলা বাতিল করে রায় দেন।

পূর্ণাঙ্গ রায়ে বলা হয়েছে, চিকিৎসা ভাতা হিসেবে উত্তোলন করা এই টাকা (২৭ লাখ ৮৬ হাজার ৩৬৪ টাকা) রায়ের কপি বিচারিক আদালত গ্রহণের ছয় মাসের মধ্যে জমা দিতে বলা হয়েছে।

সেই রায়ের অনুলিপি বিচারিক আদালতে গত ৬ মার্চ পৌঁছায়। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭ এর বিচারক প্রদীপ কুমার রায় আগামী ৯ জুলাইয়ের মধ্যে টাকা জমা দিয়ে সংশ্লিষ্ট কাগজ আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন। মঙ্গলবারই এ টাকা জমা দিলেন জমির উদ্দিন সরকার।

বিদেশে চিকিৎসার জন্য অবৈধ উপায়ে সরকারি অর্থ অনুমোদন এবং তা নগদে তুলে আত্মসাৎ, সরকারি বাসভবনের আসবাব কেনা ও তা আত্মসাৎ এবং অতিরিক্ত অর্থ তোলার অভিযোগে দুদক এ পাঁচটি মামলা দায়ের করে।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপ-পরিচালক মো. মনিরুজ্জামান খান ও উপ-সহকারী পরিচালক এসএম খবীরউদ্দিন বাদী হয়ে ২০১০ সালের ২৮ ডিসেম্বর রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় মামলাগুলো দায়ের করেন। পরবর্তীতে এই পাঁচ মামলায় অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।

পরে আদালত অভিযোগ আমলে নেন। এ অবস্থায় পাঁচ মামলা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন জমির উদ্দিন সরকার। হাইকোর্ট মামলাগুলোর কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করেছিলেন।

শুনানি শেষে ২০১৬ সালের ১৯ মে হাইকোর্ট বিভক্ত আদেশ দেন। পরবর্তীতে তৃতীয় বেঞ্চ রুল খারিজ করে দেন। এরপর তিনি আপিল বিভাগে আবেদন করেন।

উত্তর দিন

Please enter your comment!
এখানে আপনার নাম লিখুন