রাষ্ট্রপতি নির্বাচন ১৯ ফেব্রুয়ারি

লেখক:
প্রকাশ: ২ years ago

দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের তফশিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

তফশিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিল ১২ ফেব্রুয়ারি, পরদিন মনোনয়নপত্র পরীক্ষা এবং প্রার্থিতা প্রত্যাহার ১৪ ফেব্রুয়ারি।

এসব কার্যক্রম হবে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের অফিস কক্ষে। রাষ্ট্রপতি পদে একাধিক প্রার্থী থাকলে আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি বেলা ২টা থেকে ৫টা পর্যন্ত জাতীয় সংসদে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

বুধবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল তফশিল ঘোষণা করেন। তিনি এ নির্বাচনের ‘নির্বাচনি কর্তা’। এর আগে রাজধানীর নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশনের এক সংক্ষিপ্ত সভায় এ তফশিল চূড়ান্ত করা হয়।

তফশিল ঘোষণার পর সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ইভিএম কেনার প্রকল্প পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় স্থগিত করলেও তাতে তিনি হতাশ নন। এখন যেসব ইভিএম হাতে আছে, সেগুলো দিয়ে কত আসনে ভোট করা যাবে, সব বিবেচনা করে ইসি সিদ্ধান্ত নেবে।

তিনি বলেন, এটা আমার ব্যক্তিগত ব্যাপার নয়, হতাশার কিছু নেই। একটা সিদ্ধান্ত এসেছে-সার্বিক অর্থনীতির কারণে সরকার ইভিএম দিতে পারছে না।

এখানে আমাদের রিঅ্যাকশনের কিছু নেই। তিনি বলেন, পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রাপ্যতা সাপেক্ষে সর্বোচ্চ ১৫০টি আসনে ইভিএমে ভোট হবে। এখানে (পরিকল্পনামতো না হওয়ায়) হতাশ হওয়ার প্রশ্নই আসে না।

আগামী নির্বাচনে কত আসনে ইভিএমে ভোট হবে-এমন প্রশ্নে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, আমরা এখনো সিদ্ধান্ত নিইনি।

আমাদের কাছে যে ইভিএম আছে, তা যদি কার্যকর থাকে, আমরা কিউসি করছি, যতটা সম্ভব নির্বাচন করব। এ বিষয়টা এখনো নিশ্চিত নয়। কত আসনে ইভিএমে হবে, সেই সিদ্ধান্ত পরে হবে।

এদিকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন প্রসঙ্গে ইসির কর্মকর্তারা জানান, সংবিধানের ৪৮(১) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশের একজন রাষ্ট্রপতি থাকবেন, যিনি আইন অনুযায়ী সংসদ সদস্যগণ কর্তৃক নির্বাচিত হইবেন।’ তারা জানান, যেহেতু জাতীয় সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠ রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ, তাই ধরে নেওয়া হয় তারাই এই পদে প্রার্থী দেবে এবং সেই প্রার্থীই নির্বাচিত হবেন। যাবতীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীই হবেন দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি।

বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ২০১৮ সালের ২৪ এপ্রিল কার্যভার গ্রহণ করেন। সে অনুযায়ী তার দায়িত্বের পাঁচ বছর মেয়াদ শেষ হচ্ছে ২৩ এপ্রিল। রাষ্ট্রপতির মেয়াদ শেষ হওয়ার কারণে পদটি শূন্য হলে মেয়াদ শেষ হওয়ার আগের ৯০ থেকে ৬০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করার বিধান আছে।