রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ইসির সাক্ষাৎ ১ নভেম্বর

লেখক:
প্রকাশ: ৬ years ago

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচারে জীবন্ত কোনো প্রাণী ব্যবহার করা যাবে না। এই বিধান যুক্ত করে সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী ও রাজনৈতিক দলের আচরণ বিধিমালার সংশোধনী অনুমোদন করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

রোববার বিকেলে ইসির সভায় এই সংশোধনী অনুমোদন করা হয়। সভা শেষে ইসি সচিবালয়ের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

এদিকে, একাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে ১ নভেম্বর রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করবে নির্বাচন কমিশন।  রোববার রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি জানান, ইসির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সিইসি ও নির্বাচন কমিশনারদের সঙ্গে রাষ্ট্রপতির সাক্ষাতের সময়সূচি ১ নভেম্বর বিকেল ৪টায় নির্ধারিত রয়েছে। ৩০ অক্টোবর থেকে ২৮ জানুয়ারির মধ্যে সংসদ নির্বাচনের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে। ডিসেম্বরের মধ্যে ভোট করার প্রস্তুতি রয়েছে ইসির। সে ক্ষেত্রে নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে তফসিল ঘোষণা হবে।

ইসি সূত্রে জানা যায়, তফসিলের পর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদে রাজনৈতিক ব্যক্তিদের থাকা এবং সভার অনুমতি-সংক্রান্ত ধারায় সংশোধনী আনার প্রস্তাব থাকলেও রোববার কমিশনের সভায় এ দুটি বিষয় উত্থাপন করা হয়নি। ফলে বড় কোনো পরিবর্তন আসেনি আচরণ বিধিমালায়।

এদিন বিকেলে ইসির সভা শেষে সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ সাংবাদিকদের বলেন, প্রচারে জীবন্ত প্রাণীর ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞার বাইরে পোস্টারের সংজ্ঞা থেকে ‘কাপড়’ বাদ দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ নির্বাচনে কেউ কাপড়ের তৈরি পোস্টার ব্যবহার করতে পারবে না। আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক নীতিমালা নিয়ে বৈঠকে বলা হয়, এটি আরও পর্যালোচনা করে পরে চূড়ান্ত করা হবে।

বর্তমান বিধিমালায় তফসিলের পর সভা করার জন্য ২৪ ঘণ্টা আগে লিখিত অনুমতি চাওয়ার বিধান আছে। ইসির আইন সংস্কার কমিটি সূত্র জানায়, এ ক্ষেত্রে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোনো সিদ্ধান্ত দেওয়া না হলে অনুমতি নেওয়া হয়েছে বলে ধরে নেওয়া হবে- এমন একটি বিধান যুক্ত করার প্রস্তাব ছিল।

এ ছাড়া বর্তমান বিধিমালায় বলা আছে, কোনো প্রার্থী বা তার মনোনীত কোনো প্রতিনিধি আগে থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদে থাকলে নির্বাচনের সময় তারা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোনো সভায় বা প্রতিষ্ঠানের কাজে অংশ নিতে পারবেন না। এ বিধানের সঙ্গে নিবন্ধিত দলের কমিটির পদধারী ব্যক্তি ও নেতাকর্মী পরিচালনা পর্ষদে থাকতে পারবেন না, এ বিধান যুক্ত করার প্রস্তাব ছিল।

ইসির রোববারের সভার আগে প্রথমে যে কার্যপত্র কর্মকর্তাদের দেওয়া হয়েছিল, তাতেও এ দুটি বিষয় ছিল। কিন্তু আনুষ্ঠানিকভাবে এ দুটি প্রস্তাব কমিশনের সভায় ওঠেনি। ফলে এ দুটি বিষয়ে আলোচনাও হয়নি।

ভোটারদের সঙ্গে দূরত্ব কমাতে হবে- সিইসি: প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে. এম. নুরুল হুদা বলেছেন, ভোট করতে রাজনৈতিক দল ও ইসির মধ্যে দূরত্ব কমাতে হবে। রাজনৈতিক দলের কথায় নয়, ভোটারের স্বার্থরক্ষা করে কাজ করতে হবে।

রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে (ইটিআই) নির্বাচনী কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সিইসি এ কথা বলেন।

সিইসি বলেন, নির্বাচনে বুথ বসানো নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর অনুরোধ থাকে। এর কিছু কিছু যৌক্তিক। তবে ভোটারের স্বার্থরক্ষা করে কাজ করতে হবে। ভোটাররা যেন নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারেন, সে ব্যবস্থা করতে হবে।

সিইসি বলেন, দেশের বিভিন্ন জেলায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) প্রদর্শনের পর ইতিবাচক মূল্যায়ন পাওয়া গেছে। আগের ব্যবস্থা থেকে বের হয়ে আসতে হবে। ব্যালট বাক্স রাত থেকে পাহারা দিতে হয়। ইভিএম হলে সেটা প্রয়োজন হয় না।

সিইসি আরও বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো সম্মত হলে নির্বাচনের আগে পোলিং এজেন্টদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করবে ইসি। এতে পোলিং এজেন্টরা তাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে আরও সচেতন হবেন। দলে নির্বাচনে দায়িত্ব পালন আরও সহজ হবে।