রাশিয়া বিশ্বকাপ থেকে ঢাকার মাঠে

লেখক:
প্রকাশ: ৬ years ago

কোস্টারিকার হয়ে রাশিয়া বিশ্বকাপ খেলা ফুটবলার যোগ দিচ্ছেন বাংলাদেশের নবাগত ক্লাব বসুন্ধরা কিংসে

বিশ্বকাপে খেলতে পারার রোমাঞ্চ কেমন? গল্পটা চাইলে এখন বাংলাদেশের ফুটবলাররাও শুনতে পাবেন। রাশিয়া বিশ্বকাপ খেলা এক স্ট্রাইকারকে নিয়ে আসছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব বসুন্ধরা কিংস।

ড্যানিয়েল কলিন্দ্রেস, কোস্টারিকান ফরোয়ার্ড। রাশিয়া বিশ্বকাপে কোস্টারিকা স্কোয়াডে শুধু নামই ছিল না। সার্বিয়া ও সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে মোট ৯৮ মিনিট মাঠে ছিলেন। সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে মূল একাদশেই ছিলেন কলিন্দ্রেস, খেলেছেন ৮১ মিনিট পর্যন্ত। এবার তাঁকেই দেখা যাবে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের নবাগত বসুন্ধরার জার্সিতে। আগামী বৃহস্পতিবার বিশ্বকাপ খেলা এ ফুটবলার ঢাকা এসে পৌঁছাবে বলে জানিয়েছেন ক্লাবের সভাপতি ইমরুল হাসান, ‘আমরা বাংলাদেশের দর্শকদের ভালো কিছু উপহার দিতে চাই। সেই ধারাবাহিকতায় বিশ্বকাপে খেলা খেলোয়াড় নিয়ে আসছি ঢাকায়। বৃহস্পতিবার ঢাকায় পৌঁছাবেন তিনি।’

বর্তমানে জাতীয় দলের সঙ্গে জাপান সফরে আছেন কলিন্দ্রেস। কাল জাপানের সঙ্গে আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে মুখোমুখি হবে কোস্টারিকা। সেখান থেকেই সরাসরি বাংলাদেশে এসে পৌঁছাবেন তিনি। তাঁকে দেখা যেতে পারে নীলফামারীতে মালদ্বীপ চ্যাম্পিয়ন ক্লাব নিউ রেডিয়েন্টের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে। ম্যাচটি হবে ২১ সেপ্টেম্বর।

দেপোর্তিভো সাপ্রিসার একাডেমিতে বেড়ে ওঠা এই ফরোয়ার্ডের পেশাদার ফুটবলে অভিষেকও এই ক্লাবে। সাপ্রিসার হয়ে ২ সেপ্টেম্বর খেলেছেন শেষ ম্যাচ। কোস্টারিকান টেলিভিশন চ্যানেল টিডি মাস তাদের টুইটার ও ফেসবুক অ্যাকাউন্টে নিশ্চিত করেছে সাপ্রিসার হয়ে কলিন্দ্রেসের শেষ ম্যাচ খেলার কথা। সেখানে বলাও হয়েছে, বাংলাদেশে আসছেন ৩৩ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড।

রিয়াল মাদ্রিদ গোলরক্ষক কেইলর নাভাসের সঙ্গে জাতীয় দলে খেলার অভিজ্ঞতা আছে কলিন্দ্রেসের। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে কোনো গোল না পেলেও ১৫টি ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা আছে তাঁর। কোস্টারিকান লিগে সাপ্রিসার হয়ে ৫টি লিগ জেতা কলিন্দ্রেসের পরিচয় ফরোয়ার্ড হলেও মিডফিল্ডে খেলতে পারেন। তবে পছন্দের পজিশন উইংয়েই। দুর্দান্ত গতি ও খেলা বানিয়ে দিতে পারেন দলের খেলায় অনেক ভূমিকা রাখতে পারেন। গোল করার চেয়ে বানিয়ে দেওয়াটাই তাঁর মূল কাজ।

বাংলাদেশের ঘরোয়া ফুটবলে কলিন্দ্রেস বিশ্বকাপ খেলা প্রথম ফুটবলার নন। এর আগে ’৮৬ বিশ্বকাপ খেলা সামির শাকির খেলেছেন ঢাকা আবাহনীর হয়ে। ইরাকি ডিফেন্ডার দুর্দান্ত খেলে ঢাকা মাতিয়ে পরে কোচ হিসেবেও বাংলাদেশকে প্রথমবারের মতো উপহার দেন সাফ ফুটবলের সোনা। মোহামেডানে খেলা এমেকা ইউজিগোরও বিশ্বকাপ খেলার অভিজ্ঞতা আছে। তবে সেটা সাদা-কালো ছেড়ে গিয়ে ’৯৪ বিশ্বকাপ খেলেছেন নাইজেরিয়ার হয়ে। সেই তুলনায় কলিন্দ্রেসের বিশ্বকাপের স্মৃতি একটু বেশি টাটকা।