আক্রমণের প্রথম কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই রাশিয়ার ৫০ ও ইউক্রেনের ৪০ সেনা নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে কিয়েভ প্রশাসন। এছাড়া, দুই পক্ষের সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে প্রাণ হারিয়েছেন আরও অন্তত ১০ জন বেসামরিক নাগরিক। বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির এক সহযোগী।
ওলেক্সি আরেস্টোভিচ নামে কিয়েভ প্রশাসনের ওই কর্মকর্তা বলেন, আমি ৪০ জনের বেশি ইউক্রেনীয় সেনা নিহত ও কয়েক ডজন আহত হওয়ার কথা জানি। এছাড়া ১০ বেসামরিক নাগরিক মারা যাওয়ার কথাও শুনেছি।
এদিকে, অর্ধশত রুশ সেনা নিহত হওয়ার পাশাপাশি আক্রমণকারীদের চারটি ট্যাংক ও ছয়টি যুদ্ধবিমান ধ্বংস করা হয়েছে বলে দাবি করেছে ইউক্রেন।
দুপুরে ইউক্রেনীয় সামরিক বাহিনী এক বিবৃতি জানিয়েছে, দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় শহর খারকিভে চারটি ট্যাংক ধ্বংস করেছে ইউক্রেনীয় বাহিনী। এছাড়া, বিচ্ছিন্নতাবাদী লুহানস্ক অঞ্চলের একটি শহরে ৫০ রুশ সেনাকে হত্যা এবং ছয়টি সামরিক আকাশযান ধ্বংস করা হয়েছে।
অবশ্য রাশিয়া এই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে। প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশ পেয়ে বৃহস্পতিবার ভোরে ইউক্রেনে হামলা শুরু করে রুশ সামরিক বাহিনী। ইউক্রেন বলছে, তিন দিকের সীমান্ত দিয়ে তাদের ওপর হামলা চালানো হচ্ছে। রাশিয়া, বেলারুশ ও ক্রিমিয়া সীমান্ত দিয়ে ইউক্রেনে প্রবেশে করেছে রুশ সেনারা। কামান, ভারী সরঞ্জাম এবং ছোট অস্ত্র ব্যবহার করে সীমান্ত ইউনিট, সীমান্ত টহল এবং চেকপয়েন্টগুলো লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে।
সূত্র: এএফপি, রয়টার্স