রাবির প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়েছেন নিয়োগপ্রাপ্তরা

লেখক:
প্রকাশ: ৩ years ago

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ফাইন্যান্স কমিটি ও সিন্ডিকেট সভা পণ্ড করতে প্রশাসনিক ভবন এবং উপাচার্যের বাসভবনে তালা ঝুলিয়েছেন ‘অবৈধ’ নিয়োগপ্রাপ্তরা।

শনিবার (১৯ জুন) সকালে ভবনগুলোতে তালা ঝুলিয়ে দেন তারা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বাসভবনে ফাইন্যান্স কমিটির একটি সভা হওয়ার কথা রয়েছে। এছাড়া আগামী ২২ তারিখ সিন্ডিকেট সভা অনুষ্ঠিত হবে। তবে সভা দুটি যাতে বসতে না পারে, এ জন্য ভবনগুলোত তালা ঝুলিয়ে দেয়া হয়।

 

উল্লেখ্য, ৬ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহান মেয়াদের শেষ দিন অস্থায়ী ভিত্তিতে (অ্যাডহক) ১৪১ জনকে নিয়োগ দেন। এদের মধ্যে শিক্ষক পদে ৯ জন, কর্মকর্তা পদে ২৩ জন, তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী পদে ৮৫ জন ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী পদে ২৪ জনকে নিয়োগ দেয়া হয়।

তবে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে তাদের যোগদান স্থগিত রেখেছেন বর্তমানে দায়িত্বপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা।

নিয়োগপ্রাপ্ত রাবি ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি আতিকুর রহমান সুমন বলেন, ‘শনিবার ফাইন্যান্স কমিটির সভা হলে আগামী ২২ তারিখে সিন্ডিকেট সভা হবে। আমরা শুনেছি, ওই সভায় আমাদের নিয়োগ সম্পূর্ণভাবে বাতিলের জন্য সুপারিশ করা হবে। সিন্ডিকেট ও ফাইন্যান্স কমিটির সভা যাতে না হয় সেজন্য আমরা ভবনগুলোতে তালা লাগিয়েছি।’

 

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আনন্দ কুমার সাহা বলেন, ‘তালা লাগানোর ঘটনাটি আমি শুনেছি। এ ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে তা কয়েকদিন থেকেই শুনছিলাম। সেজন্য প্রক্টরের মাধ্যমে থানায় মৌখিক ও লিখিত জানিয়েছি। এছাড়া রাজশাহীর স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারা বিষয়টি অবগত রয়েছেন। প্রশাসনের সবার সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

জানা যায়, ৬ মে উপাচার্য হিসেবে শেষ কার্যদিবস পালন করেন অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহান। মেয়াদের শেষ দিনেই অ্যাডহকে নিয়োগ দেন ১৪১ জনকে। তাদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সন্তান, স্ত্রী ও স্বজন, ছাত্রলীগের সাবেক-বর্তমান নেতাকর্মী এবং সাংবাদিক রয়েছেন।

 

বিতর্কিত এ নিয়োগকে অবৈধ উল্লেখ করে এদিন সন্ধ্যায় চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তদন্ত কমিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে তদন্ত করে গত ২৩ মে প্রতিবেদন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জমা দেয়। এতে এ নিয়োগকে ‘অবৈধ’ উল্লেখ করা হয়।

এছাড়া এ নিয়োগে বিদায়ী উপাচার্যসহ বেশ কয়েকজনের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত কমিটি।