পাবনার চাটমোহর উপজেলার মূলগ্রাম ইউনিয়নের আটলংকা গ্রামের স্কুলশিক্ষক রফিকুল ইসলাম ও তাসলিমা দম্পতির ঘরে জন্ম নেয়া জোড়া মাথার শিশুদের উন্নত চিকিৎসার জন্য হাঙ্গেরি পাঠাচ্ছে সরকার।
শুক্রবার রাতের একটি ফ্লাইটে দুই শিশু ও তাদের বাবা-মাকে সঙ্গে নিয়ে হাঙ্গেরিতে রওনা হবেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের সহযোগী অধ্যাপক ডা. হোসাইন ইমাম ইমু। হাঙ্গেরিতে শিশু দুটির চিকিৎসা তত্ত্বাবধান করবে জার্মানভিত্তিক ‘ফর বাংলাদেশ অর্গানাইজেশন’ নামের একটি সংগঠন।
আজ দুপুরে বার্ন ইউনিটে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মো. নাসিম রাবেয়া-রোকাইয়ার বাবা-মার হাতে সপরিবারে হাঙ্গেরি যাওয়ার বিমানের টিকিট তুলে দেন।
পাবনার চাটমোহর উপজেলার মূলগ্রাম ইউনিয়নের আটলংকা গ্রামের স্কুলশিক্ষক রফিকুল ইসলাম ও তাসলিমা দম্পতির ঘরে জন্মগত ত্রুটি নিয়ে জন্ম নেয় রাবেয়া ও রোকাইয়া। ২০১৬ সালের ১৬ জুন অপারেশনের মাধ্যমে জন্ম হয় তাদের।
জানা গেছে, এক বছর ধরে মাথা জোড়া লাগানো শিশু দুটি বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন। এর মধ্যে জার্মান ও হাঙ্গেরির দুই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক শিশু দুটিকে দেখেন। তারা হাসপাতালে দুই দফায় মাথায় এনজিওগ্রামের মাধ্যমে তাদের ব্রেইনের প্রধান রক্তনালী আলাদা করেন। এরপর তারা শিশু দুটিকে হাঙ্গেরিতে নিয়ে চিকিৎসা করাতে আগ্রহ প্রকাশ করেন।
গত ২০ নভেম্বর ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করানো হয় এই দুই শিশুকে।