ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার কানুদাসকাঠি নলবুনিয়া বাজার এলাকায় মো. জাহাঙ্গির হোসেন নামে এক মসজিদের ইমামের বসতঘরে হামলা চালানো ও বসতঘরটি উচ্ছেদের পায়তারা করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে স্থানীয় প্রভাবশালী আওয়ামীল নেতা আঃ কুদ্দুস সেন্টুর বিরুদ্ধে। শুক্রবার সকালে উপজেলার সাংবাদিকদের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন কানুদাসকাঠি গ্রামের মৃত, জিন্নাত আলী হাওলাদারের ছেলে ও হাজী তোরাব আলী জামে মসজিদের ইমাম মো. জাহাঙ্গির হোসেন। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার গালুয়া দূর্ঘাপুর এলাকার মৃত. হেমায়েত উদ্দিনের ছেলে মেজবাহ্ উদ্দিনের কাছ থেকে গত ২৪ জানুয়ারী ২০১৯ ইং তারিখে ১৪৬ নং দলীল মূলে ৪.৫০ শতাংশ জমি সাবকবলা হিসাবে ক্রয় করেন জাহাঙ্গির হোসেন। জমি ক্রয়ের পর জাহাঙ্গির হোসেন সেখানে বসতঘর নির্মান করে স্ত্রী ও শিশু সন্তানদের নিয়ে বসবাস করে আসছেন। অপরদিকে মৃত. হেমায়েত উদ্দিনের অন্য এক ছেলের জমি ক্রয় করেন একই এলাকার হাজী আ: রব হাওলাদারের ছেলে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক আ: কুদ্দুস সেন্টু। তবে সেন্টু স্থানীয় প্রভাবশালী হওয়ায় ও ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে হেমায়েত উদ্দিনের এক ছেলের কাছ থেকে জমি ক্রয় করে সকল জমি ভোগ দখলের চেষ্টা ও পায়তারা করছে। এ বিষয়ে জাহাঙ্গির হোসেন বাদী হয়ে গত ৮ ডিসেম্বর ঝালকাঠি বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের সরণাপন্ন হলে আদালত অফিসার ইনচার্জ রাজাপুরকে জমিতে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার নির্দেশ দেন। এতে প্রভাবশালী আ.লীগ নেতা আঃ কুদ্দুস সেন্টু জাহাঙ্গির হোসেনের উপর আরও ক্ষিপ্ত হন এবং গত রোববার গভীর রাতে সেন্টু দলবল ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে জাহাঙ্গিরের বসতঘরটি ওখান থেকে উচ্ছেদ করার চেষ্টা চালায়। এ সময় জাহাঙ্গির রাজাপুর থানা অফিসার ইনচার্জ এর সরকারি নাম্বারে কল দিয়ে না পেয়ে ৯৯৯ তে কল করে সাহায্য চাওয়া হলে তখন থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। থানা পুলিশের উপস্থিতি দেখে সেন্টু সহ তার ভাড়াটিয়া দলবল পিকনিক খাওয়ার কথা বলে স্থান ত্যাগ করেন। জাহাঙ্গির হোসেন আরও অভিযোগ করে বলেন, প্রভাবশালী সেন্টু তার বাহিনী দ্বারা আমার ও আমার পরিবারের উপর হামলা চালিয়ে যে কোন সময় আমার একমাত্র আশ্রয়স্থল বসতঘরটি উচ্ছেদ করতে পারে বলে আতংকিত অবস্থায় রয়েছেন।
এ বিষয়ে আঃ কুদ্দুস সেন্টুর কাছে জানতে চাইলে তিনি তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বিকার করে বলেন, আমি তাকে কখনওই হুমকি দামকি দেইনি এবং তার বসতঘর উচ্ছেদ করতে যাইনি।