রাজশাহী ও সিলেট সিটি ভোট নিয়ে আমরা সন্তুষ্ট : সিইসি

লেখক:
প্রকাশ: ১ বছর আগে

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, পাঁচ সিটি করপোরেশন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে উৎসাহিত করবে। কেননা, পাঁচটি সিটি নির্বাচন ভালো হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, রাজশাহী ও সিলেট সিটি করপোরেশন ভোটে কোনও ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। তবে বৃষ্টির জন্য কিছুক্ষণ ভোটগ্রহণে ব্যাঘাত ঘটেছিল। এই দুই সিটি ভোট নিয়ে আমরা সন্তুষ্ট।

বুধবার (২১ জুন) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে এই দুই সিটির ভোট সিসি ক্যামেরায় মনিটরিং শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। এসময় অন্যান্য কমিশনার ও ইসি সচিব উপস্থিত ছিলেন।

এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, শতভাগ ভোট কখনোই নিশ্চিত হয়নি। পৃথিবীর কোথাও শতভাগ ভোট পড়ে না। ৫০ শতাংশ ভোট গুড এনাফ। ৬০-৭০ শতাংশ হলে এক্সিলেন্ট। আমরা চেষ্টা করে যাব।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, আমরা নির্বাচন মনিটরিং করেছি দিনভর। সকাল ৮টা থেকে শেষ পর্যন্ত। আমি বলব নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও আনন্দমুখর পরিবেশ সম্পন্ন হয়েছে। আধা ঘণ্টা প্রবল বৃষ্টির কারণে কিছুটা ব্যাঘাত হয়েছে। তবে ভোটগ্রহণ বন্ধ হয়নি। স্বাভাবিকভাবেই নির্বাচন হয়েছে। আমরা যে কারণে সন্তুষ্ট বোধ করছি, কোনোরকম অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। যেটা নির্বাচনে প্রত্যাশা থাকে, ভোটার অবাধে এসে ভোট দিতে পারেন কি-না, সেই প্রশ্নে আমরা বলব, তারা এসেছেন। অবাধে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। কোথাও বাধাপ্রাপ্ত হওয়ার খবর আমরা পাইনি। আমরা মিডিয়ার মাধ্যমে নজর রাখছিলাম। সেখানে প্রতিবেদকরা অপ্রীতিকর ঘটনার কোনও সংবাদ দেননি। আমরা মনে করি সার্বিকভাবে আজকের নির্বাচন ভালো হয়েছে।

তিনি বলেন, রাজশাহীতে আনুমানিক ৫২ থেকে ৫৫ শতাংশ উপস্থিতি হয়েছে। সিলেটে কম বেশি ৪৬ শতাংশ উপস্থিতি জানতে পেরেছি। কিছুটা হেরফের হতে পারে। টাঙ্গাইলের বাসাইল পৌরসভা নির্বাচনও ভালো হয়েছে। ৭০ শতাংশ ভোটার উপস্থিতি হয়েছে।

রাজশাহী সিটিতে এক নারী বার বার গোপন কক্ষে প্রবেশ করায় ভোটগ্রহণ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেবেন কি-না, এমন প্রশ্নের জবাবে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, সেটা আমরা তদন্ত করব। সিসি ক্যামেরায় আমরা দেখেছি একজন নারী একাধিকবার ভেতরে যাচ্ছেন। ৫ থেকে ১০ মিনিটের মধ্যে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। আধা ঘণ্টার মধ্যে জানতে পেয়েছি বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট তাকে তিন দিনের সাজা দিয়েছেন। এটা একটা দৃষ্টান্ত হতে পারে। তবে সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা দেখলো না কেন, আমরা সেটা তদন্ত করে অবশ্যই ব্যবস্থা নেব।

সিইসি বলেন, সার্বিক মূল্যায়নটা হচ্ছে পাঁচটি নির্বাচন ভালো হয়েছে। এটি জাতীয় নির্বাচনকে উৎসাহিত করবে। ভোটারদের উৎসাহিত করবে। ভোটাররা কেন্দ্রে যেতে আগ্রহবোধ করবে। তারপরও ভবিষ্যতেরটা ভবিষ্যতে দেখব।

তিনি বলেন, আমরা নিশ্চিত করে কিছু বলব না। জিনিসটা ভালোর দিকে যাচ্ছে, যারা রাজনীতিবিদ, প্রার্থী হবে, ভোটাররা; তাদের সবার মধ্যে একটা ইতিবাচক চিন্তা-চেতনা সৃষ্টি হতে পারে। ভোট দেওয়া ও ভোটগ্রহণকে উৎসাহিত করবে।