রাজশাহীতে জেঁকে বসেছে শীত

:
: ২ years ago

রাজশাহীতে জেঁকে বসেছে শীত। মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) সারা দিনেও রাজশাহীতে সূর্যের মুখ দেখা যায়নি। আগের দিন রাত ১১টা থেকে রাজশাহীতে ঘন কুয়াশা পড়তে শুরু করে। দৃষ্টিসীমা নেমে আসে ১০০ মিটারের নিচে। মঙ্গলবার সকাল শুরু হয় ঘন কুয়াশা। দুপুর পর্যন্ত কুয়াশাচ্ছন্ন ছিল প্রকৃতি। সারা দিনেও সূর্যের মুখ দেখা যায়নি বলে শীত অনুভূত হয়েছে বেশি। এ অবস্থায় শীত নিবারনে খড়কুটো জ্বালিয়ে আগুনের উষ্ণতা নিয়েছেন অনেকে।

রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার ভোর ৬টায় রাজশাহীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দুপুর ২টা পর্যন্ত সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগের দিন সোমবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এরও আগের দিন রোববার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ছিল ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত ২৯ ডিসেম্বর রাজশাহীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিলো ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটি রাজশাহীতে চলতি মৌসুমের এখন পর্যন্ত সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।

 

এখন রোজই কুয়াশায় ঢেকে যাচ্ছে চারপাশ। ফলে দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রার ব্যবধান কমে এসেছে। আর এই কারণে বেড়েছে শীতের দাপট। সেই সঙ্গে হিমেল হাওয়া কাঁটা দিচ্ছে শরীরে। প্রয়োজনীয় গরম কাপড় কিনতে না পেরে শীতে কষ্ট পাচ্ছেন ছিন্নমূল মানুষ। আর নিম্ন-মধ্যবিত্তরা ভিড় করছেন ফুটপাতের গরম পোশাকের দোকানে।

এদিকে ঘন কুয়াশার চাদরে প্রকৃতি ঢাকা থাকলেও জীবিকার তাগিদে সাত সকালেই বের হচ্ছেন শ্রমজীবী মানুষ। ঘন কুয়াশার কারণে সড়ক-মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে। মহাসড়কের দূরপাল্লার যানবাহন চলছে ধীরগতিতে। জ্বালাতে হচ্ছে হেডলাইট। কুয়াশার কারণে রাজশাহী থেকে বিভিন্ন গন্তব্যের ট্রেনগুলোও চলছে ধীরগতিতে। ফলে ঘটছে শিডিউল বিপর্যয়। কয়দিন ধরেই প্রত্যেক রুটের ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় ঘটেছে।

রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামাল হোসেন বলেন, রাজশাহীর ওপর দিয়ে এখন শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে না। তারপরও ঘন কুয়াশা এবং ঠান্ডা বাতাসের কারণে রাজশাহীতে এখন তীব্র শীতে অনুভূত হচ্ছে। এই কুয়াশা কেটে গেলে শৈত্যপ্রবাহ শুরু হবে। তখন রাজশাহীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আবারও এক অংকে নেমে আসার আশঙ্কা রয়েছে।