রাজবাড়ীতে সাড়ে ৮৫ হাজার টাকার জাল নোটসহ তিন নারী আটক

লেখক:
প্রকাশ: ৩ years ago

রাজবাড়ীর পাংশায় সাড়ে ৮৫ হাজার টাকার জাল টাকাসহ তিন নারী ও এক যুবককে আটক করেছে হাইওয়ে থানা পুলিশ। এসময় একটি প্রাইভেটকার ও তিনটি মোবাইল সেট জব্দ করা হয়।

শনিবার (৩০ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৮টায় পাংশা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. লিয়াকত আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

আটকরা হলেন, ফরিদপুর কোতয়ালী থানার আনসার কাজী ডাঙ্গীর এলাকার ফজলুল হকের স্ত্রী মমতাজ বেগম (৫০), একই এলাকার এনামুলের স্ত্রী শিউলি (২৩), মানিকগঞ্জের দৌলতপুরের পুলিয়া বাজার এলাকার আলতাফ হোসেনের স্ত্রী তাসলিমা বেগম (৩৫) এবং রাজবাড়ী গোয়ালন্দের পূর্ব তেনাপচার জহির উদ্দিন মোল্লার ছেলে জামিন মোল্লা (২৮)।

ওসি মো. লিয়াকত আলী বলেন, আটকরা জাল টাকা ভাঙানোর পার্টি। বিকেলে তারা রাজবাড়ী সদর উপজেলার চন্দনী বাজারের শুকুর আলীর দোকান থেকে কাপড় ও কালুখালী গান্দীমাড়ার বেলাল স্টোর থেকে একটি জুসসহ অন্যান্য খাবার কিনে দুটি এক হাজার টাকার জাল নোট দেয়। তারা চলে যাওয়ার পর ব্যবসায়ীদের সন্দেহ হলে পুলিশকে খবর দেয়।

তাদের তথ্যের ভিত্তিতে রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের পাংশা হাইওয়ে থানার সামনে চেকপোস্ট বসিয়ে পাংশাগামী ঢাকা (মেট্রো-গ ১৭-৩১৪৬) প্রাইভেটকার জব্দ করা হয়। এসময় প্রাইভেটকারে থাকা এক নারীর ব্যাগ থেকে ৭৮টি এক হাজার টাকা ও ১৫টি পাঁচশ টাকার জাল নোট এবং জাল টাকা বিক্রির ২৮টি পাঁচশ টাকা, চারটি দুইশ টাকা, ৪০টি একশ টাকা ও পাঁচটি ২০ টাকার আসল নোট পাওয়া যায়। তারা পেশাদার জাল টাকা বিক্রির চক্র। তাদের বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন বলে জানান তিনি।

জাতীয়প্রচ্ছদ এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
কমলাপুর রেলস্টেশনের ঘাস নিয়ে লাইভ করার পর এবার ট্রেনে ওঠার সময় নারী ও বৃদ্ধাদের ঝুঁকি নিয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ফের ফেসবুক লাইভ করলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন। বৃদ্ধ মা-বাবা, স্ত্রী ও বাচ্চাদের নিয়ে যারা রেলে চলাফেরা করেন তাদের প্রতি কি একটু সহায় হবেন- এমন আহ্বান জানান তিনি। তিনি প্রশ্ন তোলেন, কেউ যদি বউ-বাচ্চা, বৃদ্ধা মা-বাবাকে নিয়ে ট্রেনে উঠতে চান তা হলে বউ থাকবে কই আর মা-বাবা থাকবে কই। শুক্রবার (৫ জুলাই) রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে ফেসবুকে লাইভে এসে এসব কথা বলেন ব্যারিস্টার সুমন। লাইভে এসে প্ল্যাটফর্ম থেকে ট্রেনে ওঠার সিঁড়ির দূরত্ব দেখিয়ে সুমন বলেন, ‘এই ট্রেনটাকে মিটার গেজ (পরে সংশোধন করে বলেন ব্রডগেজ) বলা হয়। আমার প্রশ্ন হলো-প্ল্যাটফ্রম থেকে দূরত্ব বা উচ্চতা কত? ব্রিটিশ আমলের ট্রেনগুলো ছিল এমন। আপনারা (রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ) নতুন ট্রেন আনলেন কিন্তু প্ল্যাটফর্ম এখনো পুরনো।’ রেলওয়ে স্টেশনে উপস্থিত লোকদের দেখিয়ে তিনি বলেন, ‘দেখেন সবাই, প্ল্যাটফর্ম থেকে ট্রেনের উচ্চতা দোতলার সমান। কোনো স্টেশনে ট্রেনটি তিন মিনিট থামে। তিন মিনিটে ৫০ জন মানুষ প্রায় দুই তলার সমান উচ্চতায় ওঠা কি সম্ভব?’ রেলমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ‘রেলমন্ত্রী, ট্রেন আপনি অনেক উঁচু বানিয়ে দিছেন। আর প্ল্যাটফর্ম এখানে বিট্রিশ আমলের। আমি কমলাপুর সেন্ট্রাল স্টেশন থেকে বলছি। আর গ্রামের স্টেশনগুলোর অবস্থা তো আরও খারাপ। সেখানে ট্রেনে উঠতে তো রীতিমতো যুদ্ধ করতে হয়। বউ বাচ্চা নিয়ে ওঠা একটা বে-ইজ্জতের কারবার।’ তিনি আরও বলেন, ‘দুনিয়া এগোচ্ছে, সব কিছু এগোচ্ছে। রাতারাতি পরিবর্তন করতে পারবেন না। তবে ব্রেইনে আনেন পরিবর্তন করার। আপনারা বউ-বাচ্চা লইয়া ট্রেনে যাতায়াত করবেন কি-না জানি না। তবে, এই প্ল্যাটফর্ম ট্রেনের সমান করতে কোটি কোটি টাকার দরকার পড়বে না। আশা করি রেলমন্ত্রীসহ সকলেই এর প্রতি সদয় হবেন।’ এর আগে (৩০ মে) ব্যারিস্টার সুমন স্টেশনের সামনে রেললাইনের ওপর বেড়ে ওঠা ঘাস কেটে পরিচ্ছন্ন করার অনুরোধ জানিয়ে তার নিজের ফেসবুক পেজে লাইভ দেন। এর পরদিনই (শুক্রবার) সেসব ঘাস কেটে পরিষ্কার করে ফেলে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। পরিবারকে গ্রামের বাড়িতে পাঠানোর জন্য ট্রেনে তুলে দিতে কমলাপুর রেলস্টেশনে গিয়ে ফেসবুক লাইভে আসেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। সেখানে তিনি দেখেন, রেললাইনের ওপর বড় বড় ঘাস জন্মেছে। যা কাটার জন্য কারো সময় নেই। ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ‘রেলের সময় নিয়ে আমার কোনো অভিযোগ নেই। মোটামুটি ভালোই চলতেছে। এজন্য রেল কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাই।’ ওই লাইভে তিনি আরও বলেন, এটা দেশের সবচেয়ে বড় রেলস্টেশন। এটা কেন্দ্রীয় রেল স্টেশন। এ সময় তিনি এক হাত লম্বা লম্বা ঘাস দেখিয়ে বলেন, ‘কিছু লোক লাগিয়ে ঘাসগুলো পরিষ্কার করলে স্টেশনটা অনেক সুন্দর হয়ে যেত।’
৬ years ago