৩১শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
সংস্করণ:
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রায়কে কেন্দ্র করে এবার মাঠে নামলেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলটির শীর্ষ নেতারা।
বৃহস্পতিবার দুপুর পৌনে একটার দিকে কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে রাজপথে নামেন তারা। এ সময় মির্জা ফখরুল ছাড়াও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুর আউয়াল মিন্টু, বরকতউল্লাহ বুলু, মোহাম্মদ শাহজাহান প্রমুখ মাঠে উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপির এই নেতারা হেটে নয়াপল্টন বিএনপির কার্যালয় থেকে কাকরাইল নাইটঙ্গেল মোড় পর্যন্ত যান। পরে তারা গাড়িতে করে আদালতের উদ্দেশে রায় শুনতে যান। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে দু’জনকে আটক করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
এ সময় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, খালেদা জিয়ার যাত্রাপথে নেতা-কর্মীদের শান্তিপূর্ণ জনস্রোতে আওয়ামী লীগ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ কর্মসূচি করছি। সেখানে আওয়ামী লীগ বিশৃঙ্খলা করেছে।’
‘সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট মামলায় দেশনেত্রীকে হেনস্তা করার জন্য এই মামলা করা হয়েছে। রায়ে কি হবে জানি না। আমরা শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’
মগবাজারের কাছে নেতা-কর্মীরা খালেদা জিয়ার গাড়িবহরকে এগিয়ে নেবার খবর জানার পরপরই মির্জা ফখরুলসহ নেতারা কার্যালয় থেকে বেরিয়ে পড়েন।
খালেদা জিয়াসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের অর্থ আত্মসাতের দুর্নীতির মামলার রায় ঘোষণা হবে আজ। রায় শুনতে আদালতে পৌঁছেছেন বিএনপি প্রধান।
ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান পুরান ঢাকার বকশীবাজারস্থ অস্থায়ী আদালতে এ রায় ঘোষণা করবেন।
উল্লেখ্য, গত ২৫ জানুয়ারি রাজধানীর বকশীবাজারের আলিয়া মাদরাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার ৫নং বিশেষ জজ ড. আখতারুজ্জামান রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য ৮ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন। এ মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন ৩২ জন। ১২০ কার্যদিবসের বিচারকার্য শেষ হয়েছে ২৩৬ দিনে। আত্মপক্ষ সমর্থনে গেছে ২৮ দিন। যুক্তি উপস্থাপন চলেছে ১৬ দিন। আর আসামি পক্ষ মামলাটির বিভিন্ন বিষয় নিয়ে উচ্চ আদালতে গিয়েছেন ৩৫ বার।
