বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের চলমান সংস্কার উদ্যোগকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টায় ইতালি সরকারের দৃঢ় সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন দেশটির পররাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী মারিয়া ত্রিপোদি।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি এ সমর্থন ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, আমরা আশা করি আপনি সংস্কারে সফল হবেন। আমাদের প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি যেমন জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে আপনাকে উল্লেখ করেছেন, আপনি সর্বদা আমাদের উপর নির্ভর করতে পারেন।
অবৈধ অভিবাসন বন্ধে বাংলাদেশকে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ইতালি এবং বাংলাদেশ খুব ঘনিষ্ঠ। অনেক বাংলাদেশি নাগরিক ইতালিতে বাস করেন। তারা আমাদের দেশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
বৈধ অভিবাসন সম্প্রসারণের প্রয়োজনীয়তাকে অগ্রাধিকার দিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ মানবপাচার বন্ধে কঠোর পরিশ্রম করছে এবং আনুষ্ঠানিকভাবে আরও দক্ষ কর্মী বিদেশে পাঠানোর প্রচেষ্টা বৃদ্ধি করছে।
প্রধান উপদেষ্টা ত্রিপোদির প্রশংসা করে বলেন, আপনার সফর একটি ঐতিহাসিক সময়ে এসেছে। জুলাই মাসে যা ঘটেছিল তার ঠিক পরেই এটি আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সময়।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমরা অসংখ্য চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। অর্থনীতি পুনরুজ্জীবিত করা এবং রাজনৈতিক ব্যবস্থার প্রতি আস্থা পুনরুদ্ধারের মতো চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করার জন্য আমাদের প্রচেষ্টা চলছে।
ইতালির উপ-মন্ত্রী প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশ তার সরকারের কাছ থেকে পূর্ণ সমর্থন পাবে।
ত্রিপোদি আরও বলেন, ইতালি বাংলাদেশি জনগণ এবং রোহিঙ্গা মুসলমানদের জন্য তাদের উন্নয়ন সহায়তা বন্ধ করবে না।
তিনি বলেন, অনেক ইতালীয় কোম্পানি বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী। সহযোগিতার সম্ভাব্য ক্ষেত্র হিসেবে টেক্সটাইল, জ্বালানি এবং প্রতিরক্ষা খাতকে তুলে ধরে।
প্রধান উপদেষ্টা ইতালিকে তাদের কারখানা বাংলাদেশে স্থানান্তর করা এবং দুই দেশের মধ্যে বিনিময় কর্মসূচিতে তরুণদের সম্পৃক্ত করার আহ্বান জানান।
ত্রিপোদির এই সফর গত বছরের আগস্টে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পর থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কোনও দেশের মন্ত্রী পর্যায়ের প্রথম সফর। এ সময় এসডিজি বিষয়ক সিনিয়র সচিব লামিয়া মোর্শেদ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।