রাজনীতি করার যোগ্যতা এখন অভিনেতা-অভিনেত্রী হওয়া : দেবলীনা

:
: ৩ years ago

রাজনীতি করতে গেলে এতদিন একটা ব্যাকগ্রাউন্ড লাগত। কিন্তু এখন রাজনীতি করার মাপকাঠি হয়ে দাঁড়িয়েছে অভিনেতা হওয়া। কলকাতাসহ সম্প্রতি ভারতজুড়ে অভিনয়শিল্পীদের রাজনীতির মাঠ দখলের চিত্র অন্তত সে কথাই বলছে। এমনটাই মনে করেন অভিনেত্রী দেবলীনা দত্ত।

অভিনেতারা যখন এক এক করে রাজনীতিতে যোগ দিচ্ছেন, সেই সময় দাঁড়িয়ে ইন্ডাস্ট্রিটা কীভাবে দেখছেন দেবলীনা? তার জবাবে তিনি বলেন, ‘এখন রাজনৈতিক সার্কাস চলছে। রাজনীতি করতে গেলে এতদিন একটা ব্যাকগ্রাউন্ড লাগত। এখন রাজনীতিতে ঢোকার রাস্তা হলো অভিনেতা বা অভিনেত্রী হওয়া।

এটা আমার কাছে খুবই দুঃখজনক ঘটনা। আমি রাজনৈতিকভাবে যথেষ্ট সচেতন। কিন্তু কোনোদিন সক্রিয় রাজনীতি করব না। আমি কমিউনিজমে বিশ্বাসী। তবে এই মুহূর্তে আমি কোনো দলকে সমর্থন করি না। ভারতীয় জনতা পার্টির তরফ থেকে আমার কাছে শেষ এক বছর ধরে প্রস্তাব রয়েছে।

বিজেপি থেকে বারবার যোগযোগ করা হয়েছে। আমি রাজি না হওয়ায় বিজেপির তরফ থেকে আক্রমণও করা হয়েছে। আমায় ধর্ষণের হুমকি দেওয়ার সময় বরং রাজ্য সরকারের কাছ থেকে আমি নিরাপত্তা পেয়েছি। তখন ভেবেছিলাম, সরকারের তরফ থেকে প্রস্তাব আসবে। সারপ্রাইজিংলি সেটা আসে নি।’

দেবলীনা আরও জানান, ‘কদিন আগে আমি আউটডোর শুটিংয়ে গিয়েছিলাম। রাজ্য পুলিশের তরফ থেকে আমায় নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছিল। তবে বদলে দলে যুক্ত হওয়ার জন্য কোনোরকম জোর করাও হয়নি। নিঃস্বার্থভাবেই সাহায্য করা হয়েছে। তা বেশ ভালো লেগেছে আমার।

আর যারা দল থেকে অফার পাননি বলে পিছিয়ে পড়েছেন বলে ভাবছেন, তাদের বলি তারা মানসিকতাতেই পিছিয়ে পড়েছেন। আমি আপাতত কাজে মন দিয়েছি। আমার পরের ছবি নিয়ে ভাবছি।’

সম্প্রতি দেবলীনা থ্রিলার আঙ্গিকের পূর্ণ দৈর্ঘ্যের বাংলা ছবি ‘কিশলয়’- এ চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। সেখানে তিনি এক উকিলের ভূমিকায় অভিনয় করবেন। আতিউল ইসলাম পরিচালিত শিশু মনস্তত্ত্ব নিয়ে এ ছবি। কী এমন হলে একটি শিশু আত্মহননের পথ বেছে নেয়? তা নিয়েই এগোবে ছবির গল্প।

প্রবল মানসিক চাপ একটি শিশু মন কতদূর সহ্য করতে পারে, শিশুর বাবা মা তাকে কতটাই বা উপলব্ধি করতে সক্ষম হন, সব প্রশ্নের উত্তর খোঁজা হবে ছবিতে। দেবলীনার কথায় ‘শ্রীময়ীর মতো এই ছবিতে উকিলের চরিত্রে অভিনয় করব, বেশ এক্সাইটেড। আমি ছাড়াও ছবিতে রয়েছেন অভিনেতা সুদীপ মুখার্জী, সুদীপ্তা চক্রবর্তী, শিশু শিল্পী অদ্রিজা মুখার্জী, বিবেক ত্রিবেদীর মতো শিল্পীরা।

ছবির গল্প লিখেছেন তানবীর কাজী। ছবিতে কিছু মন-ছোঁয়া গান তৈরি করেছেন সংগীত পরিচালক অমিত মিত্র ও এম. রহমান।’