ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে ইতোমধ্যে রাজধানীতে প্রস্তুত করা হচ্ছে পশুর হাট। চলছে হাসিল ঘর আর প্রধান ফটক নির্মাণের কাজ। ঢাকা মহানগরে এবার মোট ১৭টি অস্থায়ী এবং ২টি স্থায়ী পশুর হাটের ইজারা চূড়ান্ত করেছে দুই সিটি করপোরেশন।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) এলাকায় একটি স্থায়ীসহ বসবে মোট নয়টি হাট। আর দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) এলাকায় একটি স্থায়ী হাটসহ দশটি হাট বসবে।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা গেছে, ঈদের দিনসহ পাঁচদিনব্যাপী কোরবানির পশুর হাট বসবে ঢাকা উত্তর সিটি এলাকায়। এর মধ্যে গাবতলীর স্থায়ী পশুর হাট ছাড়াও আরো নয়টি অস্থায়ী হাট নির্দিষ্ট করা হয়েছে।
ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম জানান, ডিএনসিসি’র অস্থায়ী ৮টি কোরবানির পশুর হাটের আয়োজন ইতোমধ্যে চূড়ান্ত হয়েছে। দুই-একদিনের মধ্যে আরও একটি হাট চূড়ান্ত হবে। নয়টি অস্থায়ী হাট এবং গাবতলী স্থায়ী হাট; মোট ১০টি হাটের বাইরে আর কোনো হাট ডিএনসিসি এলাকায় থাকবে না।
অপরদিকে, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে হাজারীবাগ, পোস্তগোলা, মেরাদিয়া, দনিয়া, ধোলাইখাল, রহমতগঞ্জ ও আমুলিয়া এলাকা থেকে কেনা যাবে কোরবানির পশু। তবে পুরান ঢাকার নয়াবাজারে এবার বসছে না কোনো পশুর হাট।
নির্ধারিত সময়ের আগে হাট না বসানোসহ বেশ কিছু নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলে জানান দুই সিটি মেয়র। কোরবানির বর্জ্য দ্রুত অপসারণেও দেয়া হয়েছে কঠোর নির্দেশনা। প্রসঙ্গত, গত বছর গাবতলী ও সারুলিয়া ছাড়াও মোট ২১ স্থানে অস্থায়ী হাট বসেছিল রাজধানীজুড়ে।