চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে মোট রপ্তানির মধ্যে তৈরি পোশাকের হিস্যা ৮৩ শতাংশ। এই সময়ে রপ্তানি হয়েছে ৩৯৬ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক। এই রপ্তানি গত বছরের জুলাইয়ের তুলনায় ২৪ দশমিক ৬৭ শতাংশ বেশি। তৈরি পোশাকের পর দ্বিতীয় শীর্ষ রপ্তানি খাত চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) হিসাব অনুযায়ী জুলাইয়ে ১২ কোটি ৭৪ লাখ ডলারের চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি হয়েছে। এই রপ্তানি গত বছরের জুলাইয়ের তুলনায় ২৯ দশমিক ৬৫ শতাংশ বেশি। গত জুলাইয়ে কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্যের রপ্তানি ৯ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে। এই রপ্তানি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১২ দশমিক ৮৬ শতাংশ বেশি। বিদায়ি অর্থবছরে ৯৯ কোটি ডলারের কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য রপ্তানি হয়েছিল।
ইপিবির তথ্যানুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম মাসে ৬ কোটি ৮১ লাখ ডলারের হোম টেক্সটাইল রপ্তানি হয়েছে। এই রপ্তানি গত বছরের জুলাইয়ের তুলনায় ১৩ শতাংশ বেশি। বিদায়ি অর্থবছরে ৮৭ কোটি ডলারের হোম টেক্সটাইল পণ্য রপ্তানি হয়েছিল। এছাড়া গত জুলাইয়ে ৫ কোটি ৫৪ কোটি ডলারের পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি হয়। এ ক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৪ দশমিক ৯২ শতাংশ।
চলতি অর্থবছরের প্রথম মাসে ৫ কোটি ডলারের চামড়াবিহীন জুতা রপ্তানি হয়েছে। এই রপ্তানি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৪৪ শতাংশ বেশি। বিদায়ি অর্থবছরে ৫২ কোটি ডলারের চামড়াবিহীন জুতা রপ্তানি হয়েছিল। এছাড়া গত মাসে ৫ কোটি ৮২ লাখ ডলারের প্রকৌশল পণ্য রপ্তানি হয়। এ ক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৭৪ শতাংশে বেশি। গত জুলাইয়ে ৪ কোটি ডলারের হিমায়িত খাদ্য রপ্তানি হয়েছে। এই রপ্তানি গত বছরের জুলাইয়ের তুলনায় ৪২ দশমিক ৭১ শতাংশ বেশি।
তৈরি পোশাক ও চামড়ার পর আর কোনো খাতের রপ্তানি আয় পার হয়নি ১০ কোটি ডলারের গণ্ডি। ৬ কোটি ৮১ লাখ ডলার নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে হোম টেক্সটাইল। ৫ কোটি ৮২ লাখ ডলার রফতানি আয় ঘরে তুলেছে চতুর্থ অবস্থানে থাকা প্রকৌশল পণ্য। ৫ কোটি ৫৪ লাখ ডলার নিয়ে পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে পাটশিল্প। জুলাইয়ের রপ্তানি আয়ের হিসেবে ষষ্ঠ অবস্থানে রয়েছে চামড়ার জুতা-স্যান্ডেল বাদে অন্যান্য পাদুকা শিল্প। তুলা ও তুলার সুতা-কাপড় রপ্তানি থেকে এসেছে সপ্তম শীর্ষ রপ্তানি আয়।
বিশ্লেষকরা বলছেন, একটি পণ্যে কোনো মাসে রপ্তানি আয় হঠাৎ অনেক বেড়ে যাচ্ছে, আবার কোনো মাসে অনেক কমে যাচ্ছে। অর্থাৎ বাজারটা ধরে রাখা যাচ্ছে না। প্রায় ৭০০ কোটি ডলারের বিশ্ববাজারে গত জুলাই মাসে মাত্র ৪০ লাখ ডলার রপ্তানি আয় করেছে আসবাবপত্র।
উদ্যোক্তারা বলছেন, রপ্তানি সহায়ক, কাঁচামাল আমদানি নীতি না থাকায় বাজার ধরা সম্ভব হচ্ছে না। সম্ভাবনাময় ওষুধ শিল্পের রপ্তানি আয় বছর ব্যবধানে ৬১.৮৫ শতাংশ বেড়ে জুলাইয়ে ১ কোটি ৯০ লাখ ডলার হলেও নেই শীর্ষ দশে। শীর্ষ দশের বাইরে থাকা বাইসাইকেলের রপ্তানি আয় ১ কোটি ২১ লাখ ডলার।