রংপুরে নির্মিত হচ্ছে- উত্তরবঙ্গের সর্ববৃহৎ ও দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শপিং মল নির্মিত হচ্ছে রংপুরে। জেলা পরিষদের বাস্তবায়নে ৩শ’ শতক জায়গায় অত্যাধুনিক বিলাসবহুল ১৮তলা বিশিষ্ট বিপণি বিতান ও বাণিজ্যিক ভবনের নির্মাণ কাজ এগিয়ে চলছে।
জেলা পরিষদ সুপার মার্কেট সংলগ্ন ‘জেলা পরিষদ সিটি সেন্টার’ নামে ১৫৯ কোটি ৩৯ লাখ ৫০ হাজার ৭২১ টাকা ব্যয়ে চার লটে এ প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন করা হবে।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মজিদ সন্স কনস্ট্রাকশন লিমিটেডের আরজু ইসলামের তত্ত্বাবধানে এটি নির্মিত হচ্ছে। এটি তৈরি হলে উত্তরাঞ্চলের হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে।
জেলা পরিষদ প্রকৌশল দফতর সূত্রে জানা যায়, ইতোমধ্যে প্রথম লটের ৮৫ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। দ্বিতীয় লটে কলাম, ফ্লোর ইত্যাদির কাজ সম্পন্ন হবে এবং তৃতীয় ও চতুর্থ লটে কাজের সমাপ্তি করা হবে। প্রথম ও দ্বিতীয় লটের কাজের সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত।
৮৪ হাজার ১৩৫ দশমিক ৭৪ বর্গ ফুট আয়তনের এ মার্কেটে ২শ’ ৩০ টি কার ও ২৬টি মোটরসাইকেল পার্কিংয়ের সুবিধা থাকছে।
এছাড়াও ৩ টি গার্ড রুম, ২ টি গার্ড বিশ্রাম রুম, ড্রাইভার ওয়েটিং রুম, একটি সুপারভাইজার রুম এবং ২টি জলধারা, ১০ টি লিফট, ৪টি সিঁড়ি, গাড়ি ওঠানামার র্যাম্প ৫ টি ও দু’টি প্রবেশ, বাহির থাকবে ও আউট ড্রপ-ইন ড্রপ থাকবে ২টি।
মার্কেটটির নিচতলায় বাচ্চাদের, বড়দের তৈরি পোষাক ও মহাজনী দোকান ১০৬টি, দ্বিতীয় তলায় বড়দের গার্মেন্টস ও রেডিমেড, থান কাপড়, মহাজনি দোকান ১৩৫টি, তৃতীয় তলায় শাড়ি কাপড়, কসমেটিক্স ও লেদার সামগ্রীর দোকান ১৪৮টি, চতুর্থ তলায় মোবাইল, কম্পিউটার ও ইলেক্ট্রনিক সামগ্রীর দোকান ১১৪ টি, পঞ্চম তলায় খেলাধুলা, ক্রোকারিজ ও স্টেশনারি সামগ্রীর দোকান ১০৯টি, ৬ষ্ঠ তলায় স্বর্ণালঙ্কার, ফুডশপ, টিকিট কাউন্টার, ত্রিডি মুভি হল ও প্রজেক্টর, সিন কমপ্লেক্স, মিটিং রুম ও কনফারেন্স রুম ৫১টি।
রংপুর জেলা পরিষদের সহকারী প্রকৌশলী সোহেল রানা জানান, উত্তরাঞ্চলের এ বৃহৎ শপিং মল হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি অবকাঠামোগত উন্নয়নেও ভূমিকা রাখবে। ইতোমধ্যে দ্রুতগতিতে এ কাজ শুরু হয়েছে।
জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সাফিয়া খাতুন বলেন, অবহেলিত উত্তরাঞ্চলে মানুষের চির বহিঃপ্রকাশ ঘটাবে এ স্থাপনা। এছাড়াও অত্যাধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা থাকবে, যাতে এ ১৮ তলা বিশিষ্ট বিপণি বিতান ও বাণিজ্যিক ভবনের নির্মাণ কাজ চলছে।
অঞ্চলের মানুষ খুব সহজেই সবকিছু পেতে পারে। আমি মনে করি রংপুরের উন্নয়নের চিত্র এর মাধ্যমে ফুটে উঠবে।