রংপুরে জাপানি হত্যা মামলার আইনজীবী নিখোঁজ, আটক ৫

লেখক:
প্রকাশ: ৭ years ago

রংপুরে জাপানের নাগরিক হোসি কুনিও ও মাজারের খাদেম রহমত আলী হত্যা মামলার প্রধান আইনজীবী রথীশ চন্দ্র ভৌমিক বাবু সোনাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। শুক্রবার সকাল থেকে তিনি নিখোঁজ বলে জানিয়েছে তার পরিবার। এ ঘটনায় তার ভাই রংপুরের কোতয়ালি থানায় জিডি করেছেন। জিজ্ঞাবাসাদের জন্য পুলিশ ৫ জনকে আটক করেছে। তাকে উদ্ধারে আইন-শৃংখলা বাহিনীর চারটি টিম মাঠে কাজ করছে।

পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়, শনিবার সকাল ৬টার দিকে রংপুর নগরীর বাবুপাড়ার বাড়ি থেকে মোটর সাইকেল একজনের সঙ্গে বের হয়ে আর ফেরেননি তিনি।

রংপুরে এক জাপানি হত্যা মামলা ও মাজারের খাদেম হত্যা মামলার পিপি ছিলেন রথীশ চন্দ্র ভৌমিক। এসব মামলায় জঙ্গিদের ফাঁসির রায়ও হয়েছে।

রথীশ চন্দ্র ভৌমিকের স্ত্রী স্নিগ্ধা সরকার বলেন, ‘শুক্রবার সকালে বাড়ি থেকে বের হয়ে তিনি আর ফিরে আসেননি। মোটর সাইকেল একজনের সঙ্গে বাড়ি থেকে বের হন তিনি। কিন্তু দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও তার কোনো খোঁজ পাচ্ছি না। আমি আমার স্বামীকে ফেরত চাই।’

অ্যাডভোকেট রথীশ চন্দ্র ভৌমিকের ছোট ভাই সুশান্ত ভৌমিক জানান, শুক্রবার অপরিচিত একজন লোক মোটর সাইকেলে নিয়ে তার দাদাকে ডাকতে আসেন বাড়িতে। তার সঙ্গে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান রথীশ চন্দ্র। এরপর থেকে তাকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

সুশান্ত বলেন, ‘আত্মীয় স্বজন সকলের বাড়িতে খোঁজ করেছি। কেউ তার বিষয়ে কিছু বলতে পারছে না। বিষয়টি পুলিশকে জানিয়েছি। কিন্তু তারাও কোন তথ্য দিতে পারছে না।’

শনিবার রথীশ চন্দ্র ভৌমিককে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে- এমন সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে তার স্বজন, শুভাকাঙ্খী এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা তার বাবুপাড়ার বাড়িতে ভিড় করেন। এলাকার উত্তেজিত লোকজন রংপুর-বগুড়া-কুড়িগ্রাম সড়ক অবরোধ করে। এতে ওই সড়কে শত শত যানবাহন আটকা পড়ে।

এদিকে রংপুর তাজহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি রথীশ চন্দ্র ভৌমিককে উদ্ধারের দবিতে ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা তাজহাট এলাকায় সড়ক অবরোধ করেন। রংপুর লায়ন্স স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থী-শিক্ষকরাও রংপুর প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করে তাকে দ্রুত উদ্ধারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

রংপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি সাফিউর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক তুষার কান্তি মন্ডল জানান, রথীশ চন্দ্র ভৌমিক জেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক। তিনি জেলা আইনজীবী সমিতির যুগ্ম সম্পাদকের দায়িত্বেও রয়েছেন। কারা তাকে নিয়ে গেল, কেন কোথায় নিয়ে গেল তা প্রশাসনকে খুঁজে বের করতে হবে।

রংপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু মারুফ হোসেন বলেন, বিষয়টি আমরা গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখছি। তবে এ ব্যাপারে এখনও কোন মামলা হয়নি।