যৌন নির্যাতন মামলা তুলে না নেয়ায় কিশোরীর মাকে পিটিয়ে মারল আসামিরা

লেখক:
প্রকাশ: ৪ years ago

২০১৮ সালে ভারতের উত্তরপ্রদেশের কানপুরে এক কিশোরীকে (১৩) যৌন নির্যাতনের অভিযোগে ছয়জনকে অভিযুক্ত করে থানায় মামলা করে ওই কিশোরীর পরিবার। সেই মামলায় সপ্তাহখানেক আগে জামিনে ছাড়া পেয়েছে অভিযুক্তরা। তবে অভিযোগ উঠেছে, ছাড়া পেয়েই নির্যাতনের শিকার ওই কিশোরীর পরিবারকে মামলা তুলে নেয়ার জন্য চাপ দিচ্ছিল অভিযুক্তরা। কিন্তু মামলা তুলে না নেয়ায় গত ৯ জানুয়ারি ওই কিশোরীর মাকে পিটিয়ে হত্যা করে তারা। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছে কিশোরীর এক আত্মীয়ও।

গত ৯ জানুয়ারি অভিযুক্তরা নির্যাতিতার মাকে নির্মমভাবে পেটায়। এতে গুরুতর আহতাবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকলেও শুক্রবার (১৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় তার মৃত্যু হয়। ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে।

এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দু’জন পলাতক রয়েছেন।

Saurabh Trivedi@saurabh3vedi

A group of five men accused of molesting a young girl, who are currently out on bail, attacked the victim’s mother after she refused to withdraw the case in Kanpur. The mother succumbed to injuries at the hospital. @myogiadityanath where is law and order in the state. @Uppolice

Embedded video

5,264 people are talking about this

পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তদের নাম- আবিদ, মিন্টু, মাহবুব, চাঁদ বাবু, জামিল ও ফিরোজ। ২০১৮-তে ওই নারীর ১৩ বছরের মেয়েকে যৌন হেনস্থা করার অভিযোগ ওঠে এই ছয়জনের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনার জেরে তাদের গ্রেফতার করে জেলে পাঠিয়েছিল পুলিশ।

গত ৯ জানুয়ারি স্থানীয় আদালত থেকে জামিনে ছাড়া পায় অভিযুক্তরা। তারপর চড়াও হয় নির্যাতিতার পরিবারের ওপর। নির্যাতিতার মাকে লাঠি, ইট দিয়ে মারা হয়। ভিডিওতে দেখা যায়, ৪০ বছরের ওই নারী রাস্তায় পড়ে রয়েছেন। তার মুখে লাথি মারছে এক অভিযুক্ত। বাকিরাও দাঁড়িয়ে আছে পাশে। নির্যাতিতার বোনকেও হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ।

ঘটনা নিয়ে কানপুরের এসএসপি অনন্ত দেও বলেছেন, ‘৯ জানুয়ারি নির্যাতিতার মাসহ তিনজনকে মারধরের অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে। মামলা তুলে নেয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করতেই এই কাজ করেছে তারা। আমরা চার অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছি। বাকি দু’জনের খোঁজ চলছে।’