যে সাত কারণে ফেবারিট ব্রাজিল

লেখক:
প্রকাশ: ৭ years ago

সামনে আরেকটি বিশ্বকাপ। অন্যবারের মতো এবারও ফেবারিট দলের নাম ব্রাজিল। ফুটবলের প্রতি ব্রাজিলের আবেগ এবং অতীত ঐহিত্য সেলেকাওদের সবসময় বিশ্বকাপে ফেবারিটের আসন দিয়েছে। তবে এবারের রাশিয়া বিশ্বকাপে সেই ফেবারিট তকমাটা একটু বেশিই পোক্ত করে নিয়েছে ব্রাজিল। ফুটবল ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম ‘মার্কা’র মতে সাতটি কারণে ব্রাজিলকে ২০১৮ বিশ্বকাপের ফেবারিট দল মনে করা হচ্ছে।

মার্কার মতে, এবারের বিশ্বকাপের জন্য ব্রাজিল শক্ত একটি রক্ষণ দাঁড় করিয়েছে। ২০১৪ বিশ্বকাপে ব্যর্থতার পরে অধিনায়কত্ব হারানোর পাশাপাশি দল থেকেও বাদ পড়েন থিয়াগো সিলভা। কিন্তু তিতে আবার তার আত্মবিশ্বাসের জায়গায় ফিরিয়ে এনেছেন। সিলভার পিএসজি সতীর্থ মারকুইনোস এবং ইন্টার মিলানের মিরান্দাকে নিয়ে বিশ্বসেরা এক ডিফেন্স দাঁড় করিয়েছেন তিতে। তার সঙ্গে ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডে কাসেমিরো এবং পাউলিনহো দলকে যেমন ভারসাম্য দিয়েছেন তেমনি করেছেন নিরাপদ।

বিশ্বকাপ জিততে হলে প্রথম সারির একজন গোলরক্ষক দরকার। কারণ ভালো গোলরক্ষক ছাড়া শুরুর দিকটা ভালো গেলেও শেষ রক্ষা হয় না। প্রতিবারের মতো এবারও ব্রাজিল দলে আছে আলিসনের মতো প্রথম সারির একজন গোলরক্ষক। ব্রাজিল এবং রোমার হয়ে দারুণ পারফর্ম করার পাশাপাশি এই গোলরক্ষক এরইমধ্যে রিয়াল মাদ্রিদের প্রথম পছন্দে পরিণত হয়েছেন।

ফর্মে থাকা খেলোয়াড় নিয়ে মাঠে নামা তিতের একটি বিশেষ গুন। এ কারণে তিতে প্রায় একই দল নিয়ে মাঠে নামছেন। এছাড়া ভালো পারফর্ম করলে দলে জায়গা পাওয়ার সুযোগটা রেখেছেন তিতে। যা আগের আট বছরের ব্রাজিল দলে খুব একটা দেখা যায়নি। তারই ধারাবাহিকতায় দলে ফিরেছেন ব্রাজিলের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় মার্সেলো। ২০১০ বিশ্বকাপে দুঙ্গা যাকে বাতিলের খাতায় রেখেছিলেন।

বর্তমান ফুটবলের সেরা তিন তারকার একজন ব্রাজিলের নেইমার। আর্জেন্টিনা কিংবা পতুর্গাল তাদের সেরা ফুটবলার মেসি এবং রোনালদো নির্ভর হয়ে পড়েছেন। কিন্তু তিতের এই দলে নেইমার নির্ভরতা নেই। ব্রাজিল দলে নেইমার ছাড়াও কৌটিনহো, উইলিয়াম, ডগলাস কস্তার মতো খেলোয়াড় আছে। তাদের যে কেউ ব্রাজিলকে ম্যাচ জেতাতে পারেন।

২০১৪ বিশ্বকাপের পর থেকে ‘নাম্বার নাইন’ নিয়ে বেশ ভুগছিল ব্রাজিল। কিন্তু তিতে এসেই দলে সুযোগ দিয়েছেন গ্যাবিয়েল জেসুসের মতো একজন তরুণকে। অলিম্পিক জেতাতে দারুণ অবদান রাখা জেসুস ১৫ ম্যাচে নয় গোল করে নিজের প্রতিভার প্রমাণ দিয়েছেন। প্রমাণ করেছেন তিনি ম্যাচের শেষ সময় পর্যন্ত গোল করতে মুখিয়ে থাকেন।

আত্মবিশ্বাস। আত্মবিশ্বাসে ফেরা এই ব্রাজিল দল আলাদাভাবে সবার নজর কেড়েছে। বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে ছন্দ হারানো দল ঘুরে দাঁড়িয়েছে দারুণভাবে। সর্বশেষ রাশিয়া এবং জার্মানির বিপক্ষে জয় দুটি তাদেরকে আলাদা সম্মান দিয়েছে। আবেগ সরিয়ে খেলোয়াড়রা যে জিততে মরিয়া তা প্রমাণ করেছে।

সর্বশেষ কারণ হলো ব্রাজিলের কোচ। ফুটবলের জন্য যিনি অতি গুরুত্বপূর্ণ। আর ব্রাজিল দলের কোচ তিতে বিতর্কের উর্ধ্বে অবস্থান করা এক মানুষ। ব্রাজিলের আগের দুই কোচ ফিলিপে স্কলারি এবং দুঙ্গার থেকে তিতে বেশ আলাদা। তার খেলোয়াড় এবং সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে সম্পর্কটা বেশ ভালো। কোচের কথায় খেলোয়াড়দের মনোযোগ, দেশের এবং কোচের জন্য খেলোয়াড়দের লড়াই করার  মনোভাব তাকে আলাদা মর্যদার স্থানে নিয়ে গেছে।

মার্কার মতে এসব কারণে ব্রাজিল জুনে অনুষ্ঠিত রাশিয়া বিশ্বকাপে স্পেন, জার্মানি, আর্জেন্টিনা এবং ফ্রান্সের পাশাপাশি ‘টপ ফেবারিট’ দল।