‘যে দুটি কারণে ফল বিপর্যয়’

লেখক:
প্রকাশ: ৬ years ago

পাঠ্যবইয়ের চেয়ে নোট বই ও বিভিন্ন নোট সিটের উপর বেশি নির্ভরতা বাড়ার কারণে পরীক্ষায় ফলাফল খারাপ হচ্ছে। একইসঙ্গে পড়ালেখার মানও অবনতি হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ ড. শাহান আরা বেগম।

বৃহস্পতিবার এইচএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর সার্বিক বিষয়ে কথা বলার সময় এমন মন্তব্য করেন তিনি।

শাহান আরা বেগম বলেন, কলেজগুলোতে এখন পাঠ্যবইয়ের চেয়ে নোট বই ও বিভিন্ন নোট সিটের উপর বেশি জোর দেয়া হয়। পাঠ্যবই তেমন পড়ানো হয় না। এতে করে শিক্ষার্থীরা এখন নোট সিটের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে।

তিনি আরও বলেন, আমরা যখন পড়ালেখা করেছি তখন নতুন বই পেলে গল্প ও ছড়াগুলো আনন্দ নিয়ে পড়তাম। এমন কি পরের দিন কোন অধ্যায় শিক্ষক পড়াবে তা আগের দিন পড়ে রাখতাম। যেখানে বুঝতাম না যে লাইন টিক দিয়ে রাখতাম। কিন্তু এখন শিক্ষার্থীরা পাঠ্যবই পড়তে চায় না। পরীক্ষায় পাসের জন্য বিভিন্ন নোটের উপর নির্ভর করে বসে থাকে। এতে করে শিক্ষার্থীরা পাস করছে কিন্তু প্রকৃত মেধাবী হচ্ছে না।

বর্তমান শিক্ষা পদ্ধতির প্রসঙ্গে এ অধ্যক্ষ বলেন, এখন সৃজনশীল পদ্ধতি চালু হয়েছে। এ নিয়ম ভালো হলেও শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন কৌশল শিখে পাস করছে। হাজার হাজার জিপিএ-৫ পাচ্ছে। কিন্তু আসলে শিক্ষার্থীরা কিছু শিখছে কিনা তা বুঝা যায় না।

তিনি বলেন, আগে মা-বাবা ও অভিভাবকরা ছেলে-মেয়েদের পড়ালেখার তদারকি করতো চাপ দিতো। কিন্তু এখন সৃজনশীল পদ্ধতির কারণে অনেক শিক্ষিত অভিভাবকরাও তা বুঝেন না। ফলে ছেলে-মেয়েদের চাপও দিতে পারেন না।

এবার গড় পাসের হার ও জিপিএ-৫ কেন কমেছে এর কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ইরেজিসহ কয়েকটি পরীক্ষার প্রশ্ন একটু কঠিন হয়েছে। তাই পাসের হার ও জিপিএ-৫ কমেছে। তবে এ হার ঠিকই আছে। কারণ আমাদের কলেজে বিভিন্ন বিভাগ থেকে মোট ১১৫৮ শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়েছেন। নির্বাচনী পরীক্ষায় একজনও জিপিএ-৫ পায়নি। কিন্তু মূল পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪৬২ শিক্ষার্থী। এর মধ্যে ৯৮ দশমিক ৯৬ শতাংশ পাস করেছে। তিন মাসের ব্যবধানে এতো মেধা খুললো কিভাবে প্রশ্ন করেন তিনি।