দুর্নীতির বিরুদ্ধে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের শূন্য সহিষ্ণুতা নীতির কথা আবারও স্পষ্ট করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেছেন, আমরা দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছি। দুর্নীতিবাজ যে দলেরই হোক আর যত শক্তিশালীই হোক, তাদের ছাড় দেওয়া হচ্ছে না এবং হবে না।
টানা তৃতীয় মেয়াদে আওয়ামী লীগ সরকারের তৃতীয় বর্ষ পূর্তি ও চতুর্থ বর্ষে পদার্পণ উপলক্ষে শুক্রবার (৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশন স্বাধীনভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করছে। তবে দুর্নীতির এ ব্যাধি দূর করতে সামাজিক সচেতনতা তৈরি করা প্রয়োজন।
তিনি আরও বলেন, আমরা কঠোর হস্তে জঙ্গিবাদের উত্থানকে প্রতিহত করেছি। বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। এখানে সকল ধর্ম-বর্ণের মানুষ পারস্পরিক সহনশীলতা বজায় রেখে বসবাস করে আসছেন এবং ভবিষ্যতেও করবেন।
এসময় সরকারপ্রধান করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের অভিঘাত মোকাবিলায় সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মানা ও দ্রুত করোনা প্রতিরোধী টিকা নেওয়ার আহ্বান জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, দেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়ক বেয়ে দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। এ উন্নয়ন অনেকেরই সহ্য হবে না বা হচ্ছে না। দেশ-বিদেশে বসে বাংলাদেশ বিরোধী শক্তি, স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি তাই নানা ষড়যন্ত্র করছে এই অগ্রযাত্রাকে রুখে দেওয়ার জন্য। মিথ্যা-বানোয়াট-কাল্পনিক তথ্য দিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে।
বিদেশে বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগীদের ভুল বোঝানোর চেষ্টা চলছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
আওয়ামী লীগ সভাপতি আশা প্রকাশ করে বলেন, বিগত ১৩ বছর জনগণ আস্থা রাখায় দেশকে অনেক দূর এগিয়ে নেওয়া সম্ভব হয়েছে। এজন্য সামনেও জনগণ আওয়ামী লীগ সরকারের ওপর আস্থা রাখবে।
২০২২ সাল বাংলাদেশের অবকাঠামো উন্নয়নের এক মাইলফলক বছর হবে বলেও ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী।
একইসঙ্গে করোনাভাইরাসের নতুন ঢেউ থেকে মানবজাতিকে রক্ষায় সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা জানান তিনি।