যে কারণে বাংলাদেশের শোচনীয় হার

:
: ৬ years ago

দুই দলের প্রথম দেখায় বাংলাদেশ পেয়েছিল ওয়ানডেতে নিজেদের সবচেয়ে বড় জয়। ১০ উইকেটের জয়ে তার বদলা নিয়ে ফাইনালে পৌঁছাল শ্রীলঙ্কা। আর ওয়ানডেতে দ্বাদশবারের মতো ১০ উইকেটে হারল বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কার কাছে এনিয়ে তৃতীয়বার এই লজ্জায় পড়লো টাইগাররা।

অথচ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হার দিয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজ শুরু করে বাংলাদেশের কাছে দ্বিতীয় হারে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যাওয়ার উপক্রম হওয়া শ্রীলঙ্কা ষষ্ঠ ম্যাচে যেভাবে উড়ন্ত বাংলাদেশকে মাটিতে নামিয়েছে এটা হয়তো অনেকেই ভাবতে পারেনি। কেননা, সিরিজের শুরু থেকে দাপট দেখিয়ে টানা তিন ম্যাচে বোনাস পয়েন্টসহ জিতে সবার আগে ফাইনালে পৌঁছে মাশরাফি বাহিনী।

অথচ  ত্রিদেশীয় সিরিজের শেষ ম্যাচে বৃহস্পতিবার মিরপুর শেরে-বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে ২৪ ওভারে মাত্র ৮২ রানেই গুটিয়ে গেছে বাংলাদেশ। জবাবে কোনো উইকেট না হারিয়ে ১১.৫ ওভারে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় লঙ্কানরা। এ জয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে উঠে গেছে দিনেশ চান্দিমালের দল। যেখানে আগে থেকেই অপেক্ষায় আছে মাশরাফির দল।

প্রথম তিন ম্যাচেই (জিম্বাবুয়ের সাথে দুইবার ও শ্রীলঙ্কার সাথে একবার) বোনাস পয়েন্টসহ জয়ে উড়ন্ত বাংলাদেশ শেষ ম্যাচে দাঁড়াতেই পারল না।

টাইগারদের এমন শোচনীয় হারের চুলচেরা বিশ্লেষণ করেছেন বাংলাদেশ সাবেক অধিনায়ক শফিকুল হক হীরা। উইকেট পর্যবেক্ষণে ভুল করেছে টিম ম্যানেজমেন্ট দাবি করে তিনি বলেন, ‘এমন উইকেটে যে কোনো দলই আগে ফিল্ডিং নেবে। জিম্বাবুয়ে ও শ্রীলঙ্কার যে ম্যাচে ২৯০ ও ২৭৮ রান উঠেছে এবং বাংলাদেশ যে ম্যাচে ৩২০ রান তুলেছে; এটি সেই উইকেট ছিল না।’

কঠিন মুহূর্তে পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে খেলার প্রবণতা বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের নেই মন্তব্য করে হীরা বলেন, এদিন মাত্র ২৪ ওভার টিকতে পারে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। টাইগারদের সবচেয়ে কম দলীয় সংগ্রহের তালিকায় এটি নবম।

ব্যাটসম্যানের আউটের ধরণ পর্যবেক্ষণে তিনি বলেন, ‘প্রথম উইকেট দ্রুত পড়ার পর যেখানে সাবধানে খেলতে হতো, সেখানে সাকিব রানআউট হয়েছে, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ যে পুলটি করেছেন, সেটি সরাসরি ফিল্ডারের হাতে গেছে। সাব্বির এসেই রিভার্স সু্‌ইপ করার চেষ্টা করেন, সেসময় তো উইকেটে থিতু হওয়ার কথা।’

প্রথম তিন ম্যাচে অর্ধশতক পূর্ণ করা তামিম ইকবাল এদিন আউট হন ৫ রান করে। এনামুল হক বিজয় প্রথম তিন ম্যাচে যথাক্রমে ১৭, ৩৫ ও ১ রান করার পর আজ শূন্য রানে সাজঘরে ফেরেন।

সাকিবও ফিরে যান ৮ রান করে। শেষ ভরসা হয়ে থাকা মুশফিকও ফিরলেন স্লগ করে উইকেট বিলিয়ে। এদিন আর দলের জন্য কিছু করতে পারেনি লোয়ার অর্ডারও। তাই ৮২ রানে গুটিয়ে যাওয়ার বিব্রতকর স্বাদ।