যে কারণে নীলফামারীতে বেশি শীত

লেখক:
প্রকাশ: ৬ মাস আগে

প্রতি বছর একটু আগেভাগেই শীত নামে নীলফামারীসহ উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে। দেশের অন্য জেলার চেয়ে উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে শীতের তিব্রতাও বেশি থাকে। এবারো নীলফামারীসহ আশপাশের জেলাগুলোতে ৭ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকছে নিয়মিত। গত এক সপ্তাহ ধরে মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এই অঞ্চলে।

রোববার (১৪ জানুয়ারি) জেলার সৈয়দপুর আবহাওয়া অফিসে ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। তীব্র শীতের সঙ্গে ঘন কুয়াশা, হিমেল বাতাস ও ঝিরিঝিরে শিশির বিন্দু পড়ায় মানুষের ভোগান্তি কয়েকগুণ বেড়েছে। এছাড়া, জেলায় সূর্যের দেখা পাওয়া যায়নি।

শীতের তীব্রতায় শ্রমজীবী মানুষেরা কষ্ট বেড়েছে। নিম্ন আয়ের মানুষজন বাড়ি থেকে বের হলেও পাচ্ছেন না কোনো কাজ। পরিবার নিয়ে আর্থিক কষ্টে দিন কাটছে তাদের। শিশু ও বৃদ্ধরা ডায়রিয়া নিউমোনিয়াসহ বিভিন্ন ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। গরম কাপড়ের অভাবে রয়েছে দরিদ্র ছিন্নমূল মানুষদের। শীত আসলেই ভোগান্তিতে পড়েন এই অঞ্চলের সব বয়সী মানুষ।

 

 

তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশাকে উপক্ষা করে কাজের সন্ধানে বের হতে হচ্ছে শ্রমজীবীদের

 

মূলত ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণেই হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত নীলফামারীসহ আশপাশের জেলাগুলোতে বেশি শীত অনুভূত হয়। এই অঞ্চলগুলোতে দেশের অন্যান্য এলাকার চেয়ে একটু আগেভাগেই শীতের আগমন ঘটে। সুদূর সাইবেরিয়া থেকে ঠান্ডা বাতাস হিমালয়ের কোল ঘেঁষে বাংলাদেশের উত্তর ও পশ্চিমে প্রবেশ করে। মূলত এই বাতাসই শীত বাড়িয়ে দেয়।

সৈয়দপুর আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত ৩০ বছরে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল তেঁতুলিয়ায়। ২০১৮ সালের ৮ জানুয়ারি তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। একই দিনে নীলফামারীতে ৩ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল।

 

ভ্যানে সবজি নিয়ে বাজারে যাচ্ছেন এক কৃষক

সৈয়দপুর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লোকমান হাকিম বলেন, হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থান হওয়ার কারণেই মূলত নীলফামারীতে একটু শীত বেশি অনুভূত হয়। সাইবেরিয়া থেকে ঠান্ডা বাতাস হিমালয়ের কোল ঘেঁষে বাংলাদেশের উত্তর ও পশ্চিমে প্রবেশ করে। এই বাতাসের কারণেই এই জেলায় একটু আগেই শীত নামে এবং দেশের অন্যা জেলাগুলোর চেয়ে বেশি শীত অনুভূত হয়