যে কারণে দেশেই চিকিৎসা করালেন আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল

লেখক:
প্রকাশ: ৬ years ago

বিদেশে চিকিৎসা নেওয়ার সুযোগ থাকলেও দেশের হাসপাতালেই চিকিৎসা নিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধা, গীতিকার, সুরকার ও সংগীত পরিচালক আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল। কেন দেশেই চিকিৎসা করালেন? মঙ্গলবার দুপুরে একটি স্ট্যাটাস দিয়ে মনের কথা জানিয়েছেন এই গুনি মানুষটি। তিনি স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘আমি ইচ্ছা করলেই দেশের বাইরে গিয়ে আমার হৃদ্রোগের চিকিৎসা করাতে পারতাম, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সেই সুযোগও আমাকে দিয়েছিলেন। কিন্তু আমার দেশপ্রেম আমাকে দেশ ত্যাগ করতে দেয়নি।’

বুলবুল আরও লিখেছেন,‘আমি যেভাবে চেয়েছিলাম, সেভাবেই সবকিছু শুরু হয়েছিল। আমার বুকে ছিল জাতীয় পতাকা এবং পতাকার ওপর ছিল পবিত্র কোরআন।’ এছাড়াও তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ এবং তার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।

গত শনিবার রাজধানীর জাতীয় হৃদ্রোগ ইনস্টিটিউটের পরিচালক আফজালুর রহমানের তত্ত্বাবধানে আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের হৃদ্যন্ত্রে দুটি স্টেন্ট পরানো হয়। জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে বাসায় ফিরেছেন তিনি। এরপর ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন তিনি।

জাতীয় হৃদ্রোগ ইনস্টিটিউটের চিকিৎসকদের ধন্যবাদ জানিয়ে আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল লিখেছেন, ‘আমি জাতীয় হৃদ্রোগ ইনস্টিটিউটের ডাক্তারদের কাছ থেকে যে সর্বাত্মক সহযোগিতা পেয়েছি, যা ভাষায় বর্ণনা করা সম্ভব না। আমি শ্রদ্ধা ও সম্মানের সঙ্গে তাদের নাম স্মরণ করছি।’

আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের হৃদ্যন্ত্রে আটটা ব্লক ধরা পড়ার পর শুরুতে বলা হয়েছিল, বাইপাস করাতে হবে। এই সংগীত ব্যক্তিত্বের শারীরিক অবস্থার খবর জানতে পেরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার কার্যালয়ের পরিচালক চিকিৎসক জুলফিকার লেনিনকে দায়িত্ব দেন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার। এরপর প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের পরিচালকের নেতৃত্বে একটি চিকিৎসক দল আবারও পরীক্ষা শেষে সিদ্ধান্ত নেয়, বাইপাস নয়, আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের হৃদ্যন্ত্রের ব্লকগুলোতে রিং (স্টেন্ট) পরাতে হবে।

হৃদ্যন্ত্রের ব্লকগুলোতে রিং পরানোর পর এখন ভালো আছেন আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল। সবার উদ্দেশে তিনি লিখেছেন, ‘আমার এই হৃদ্রোগ চিকিৎসা ছিল অত্যন্ত জটিল ও ঝুঁকিপূর্ণ, তাই আমার আত্মীয়স্বজন, বন্ধু, সহকর্মী, শিল্পী, সাংবাদিক ও অনেক কাছের শুভাকাঙ্ক্ষীদেরও কিছু বলে যাইনি। আমি অন্তর থেকে সবার কাছে ক্ষমা চেয়ে নিলাম।