নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে কাজের মেয়ে সেজে বাড়িতে ঢুকে ১৩ দিনের মাথায় স্বর্ণ ব্যবসায়ীর স্ত্রীকে চেনতানাশক ওষুধ খাইয়ে তানিয়া আক্তার নামে এক তরুণী ১২ লাখ ৭৫ হাজার টাকার স্বর্ণালংকার চুরি করে লাপাত্তা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার তারাব পৌরসভার যাত্রামুড়া এলাকায়।
এ ঘটনায় রোববার সকালে স্বর্ণ ব্যবসায়ী শামীম মিয়া বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
স্বর্ণ ব্যবসায়ী শামীম মিয়া জানান, তার যাত্রামুড়া এলাকায় বধুঁয়া জুয়ালার্স নামে একটি স্বর্ণের দোকান রয়েছে। তানিয়া আক্তার সেই দোকানে নিয়মিত আসেন। এ সময় শামীম মিয়ার সঙ্গে মেয়েটির কথা হলে তার চাকরি না থাকায় সংসার চালাতে কষ্ট হওয়ার অসহায়ত্বের কথা জানতে পারেন। তানিয়া আক্তার (২১) শামীমকে একটি চাকরি জোগাড় করে দিতে বলেন। শামীম এ সময় মেয়েটির অসহায়ত্বর কথা ভেবে তাদের বাড়িতে নিয়ে তার স্ত্রীর কাজে সহযোগিতা করতে রেখে দেন। সেই সুবাদে মেয়েটি ভালো কাজকর্মও করে এবং শামীম ও তার পরিবারের বিশ্বাসী হয়ে ওঠে।
এদিকে শামীম ঈদের আগের দিন গত ২ মে সোমবার রাতে দোকানের কাস্টমারদের বিভিন্ন ধরনের ১০ ভরি স্বর্ণালংকার নিরাপত্তার বিষয় চিন্তাভাবনা করে বাড়িতে নিয়ে আসেন। গত ৪ মে কাজের মেয়ে তানিয়া আক্তার রাত সাড়ে ১১টার দিকে শামীম বাহিরে থাকা অবস্থায় শামীমের স্ত্রী বিলকিস আক্তারকে দইয়ের সঙ্গে চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে অজ্ঞান করে ফেলে এবং ড্রয়ারে রাখা ১০ ভরি ও স্ত্রীর ৭ ভরি মোট ১৭ ভরি স্বর্ণালংকার চুরি করে পালিয়ে গেছে বলে জানান শামীম মিয়া।
পরে কাজের মেয়ে তানিয়া আক্তারকে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও পাওয়া যায়নি। কোথাও খুঁজে না পাওয়ায় স্বর্ণ ব্যবসায়ী শামীম মিয়া বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে রূপগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হুমায়ুন কবির মোল্লা বলেন, এ ঘটনায় চুরির মামলা হয়েছে। কাজের মেয়েকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।