‘যেটা করতে পারব না সেই ওয়াদাও করব না’

লেখক:
প্রকাশ: ৭ years ago

বন্যা ও রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে সরকার চ্যালেঞ্জিং সময় পার করছে মন্তব্য করে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ঢাকা সিটিসহ নির্মিত এবং নির্মিয়মাণ অনেকগুলো ফ্লাইওভার রয়েছে। এছাড়া ১৪টির মত রেলওভার পাস এবং ফ্লাইওভার নির্মাণাধিন রয়েছে।

কাজেই যেসব কাজ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করতে হবে, সেগুলোই ঠিক করার পর অন্য কাজ করতে পারব। যেটা করতে পারব না সেই ধরণের ওয়াদাও দিতে পারব না।

সংসদের ১৭তম অধিবেশনে জাতীয় পার্টির সদস্য নুরুল ইসলাম ওমর উত্থাপিত ‘বগুড়া জেলার সামাথা থেকে দত্তবাড়ী পর্যন্ত ফ্লাইওভার নির্মাণ’ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত প্রস্তাবের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন কার্যক্রম তলে ধরে মন্ত্রী বলেন, এমপিরা যে প্রস্তাবগুলো করেছেন এবং এর সঙ্গে যেসব সংশোধনী প্রস্তাব এসেছে এগুলো যুক্তি সঙ্গত ও বাস্তবমুখি। কিন্তু এগুলো নির্মাণ করা অত্যান্ত ব্যয়বহুল ও সময় সাপেক্ষ। আর এক সঙ্গে এত প্রকল্প গ্রহণ করাটা বাস্তবসম্মতও নয়। আমাদের মনে রাখতে হবে এই মুহুর্তে খুব ’চ্যালেঞ্জিং টাইম’ অতিক্রম করছি। বন্যায় আমরা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। হাওরে, উপকূলে এবং সাম্প্রতিক বন্যা আমাদের রাস্তাগুলো মারাত্মক ক্ষতি করেছে। এখন আবার নতুন করে যুক্ত হয়েছে একটা ’ফ্যাটাসটিক সিচুয়েশন (হৃদয় বিদারক অবস্থা)। ’ রোহিঙ্গাদের জনস্রোত। এরইমধ্যে ৪ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে এসেছে। আরো লক্ষাধিক রোহিঙ্গা প্রবেশের অপেক্ষায়। তিনি বলেন, টানা বর্ষণজনিত প্লাবনের কারণে রাস্তাগুলো ভাল অবস্থায় নেই। যে কারণে রাস্তায় এখন প্রচন্ড যানজট। আমরা কোনটাকে অগ্রাধিকার দিব। আগে ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা সংস্কার করব, নাকি নতুন নতুন ফ্লাইওভার নির্মাণ করব।
সরকারের বিভিন্ন কার্যক্রম তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, সময়মত কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভ নির্মাণ করতে পেরেছিলাম বলেই সেদিন ৩৬ টি দেশের কূটনৈতিকরা উখিয়ার কুতুপালং এ যেতে পেরেছিল। সেই রাস্তাও নিয়মিত সংস্কারে প্রয়োজনিয়তা রয়েছে। মেরিন ড্রাইভ নির্মাণ করতে এককালীন অনেক অর্থ ব্যায় হয়েছে। বন্যায় অনেক ক্ষতি হয়েছে। অপ্রত্যাশিত অনেক ব্যয় সামনে চলে এসেছে। যা আমাদের বাজেটে নেই। বন্যায় রাস্তা ধুয়ে গেছে। এসব জায়গাতেও বাজেট বরাদ্দ নেই। এগুলোকে আবার পূর্বাস্থায়ে ফিরিয়ে আনা জরুরী।