অতিরিক্ত সচিবের পর এবার জনপ্রশাসনে ১৫৪ কর্মকর্তাকে যুগ্ম-সচিব পদে পদোন্নতি দিয়েছে সরকার। উপ-সচিব থেকে যুগ্ম-সচিব পদে পদোন্নতির আদেশটি বৃহস্পতিবার রাতে প্রকাশ করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে জনপ্রশাসনে তিনস্তরে পদোন্নতির গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল। এর মধ্যে গত ২৯ আগস্ট অতিরিক্ত সচিব পদে ১৬৩ জনকে পদোন্নতি দেয়া হয়। এখন যুগ্মসচিব পদে পদোন্নতি চূড়ান্ত হলো।
পদোন্নতিপ্রাপ্তদের মধ্যে ৫ জন বিদেশে কর্মরত রয়েছেন। এই ৫ জনের জন্য আলাদা পদোন্নতির আদেশ জারি করা হয়েছে। ১৪৯ জনের পদোন্নতির জন্য আরেকটি আদেশ জারি করা হয়েছে।
নিয়ম অনুযায়ী পদোন্নতি দিয়ে কর্মকর্তাদের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়েছে। পদোন্নতিপ্রাপ্ত যুগ্ম-সচিবদের পদায়ন করা হয়নি। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, পদোন্নতির পর যুগ্ম-সচিবের মোট সংখ্যা হলো ৭৬৭ জন। যুগ্ম-সচিবের নিয়মিত পদের সংখ্যা ৪১১টি।
স্থায়ী পদ না থাকায় এমনিতেই অনেক যুগ্ম-সচিবকে নিচের পদে কাজ করতে হচ্ছে, এর উপর নতুন করে পদোন্নতি দেয়ায় প্রশাসনে আরও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। পদোন্নতিপ্রাপ্ত বেশির ভাগ যুগ্ম-সচিবকে বর্তমান কর্মস্থলে ইনসিটু (উপ-সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করা স্থানে) থাকতে হবে।
‘সরকারের উপ-সচিব, যুগ্ম-সচিব, অতিরিক্ত সচিব ও সচিব পদে পদোন্নতি বিধিমালা, ২০০২’ বলা হয়েছে, হয়েছে, যুগ্ম-সচিব পদে পদোন্নতির ক্ষেত্রে ৭০ শতাংশ প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের ও ৩০ শতাংশ অন্যান্য ক্যাডারের উপ-সচিব পদে কর্মরতদের বিবেচনায় নিতে হবে।
বিধিমালা অনুযায়ী, উপ-সচিব পদে কমপক্ষে ৫ বছর চাকরিসহ সংশ্লিষ্ট ক্যাডারের সদস্য হিসেবে কমপক্ষে ১৫ বছরের চাকরির অভিজ্ঞতা বা উপ-সচিব পদে কমপক্ষে ৩ বছর চাকরিসহ ২০ বছরের অভিজ্ঞতা থাকলে কোনো কর্মকর্তা যুগ্ম-সচিব পদে পদোন্নতির জন্য বিবেচিত হন।