যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুক হামলায় নিহত ২৯

লেখক:
প্রকাশ: ৫ years ago

যুক্তরাষ্ট্রে মাত্র ১৩ ঘণ্টার ব্যবধানে দুই অঙ্গরাজ্যে বন্দুক হামলায় অন্তত ২৯ জন নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে টেক্সাসে ২০ জন এবং ওহাইওতে ৯ জনের প্রাণ গেছে। টেক্সাসের হামলাকে পুলিশ বিদ্বেষমূলক বলে মনে করছে। হামলার কঠোর নিন্দা জানিয়ে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, এটা কাপুরুষোচিত। খবর বিবিসি, রয়টার্স ও সিএনএনের

টেক্সাসে হামলায় বন্দুকধারী আটক টেক্সাসে বন্দুকধারীর গুলিতে ২০ জন নিহত এবং ২৬ জন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। মেক্সিকো সীমান্তের কয়েক মাইল দূরত্বে এল পাসো শহরের সিয়েলো ভিস্টা মলের কাছে ওয়ালমার্ট স্টোরে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এল পাসোর বেশিরভাগ নাগরিক হিস্পানিক।

মেক্সিকোর সরকার জানিয়েছে, তাদের তিন নাগরিক নিহত এবং ছয় জন আহত হয়েছেন। টেক্সাসের মেয়র গ্রেগ অ্যাবোট এ ঘটনাকে সেখানকার ‘ইতিহাসে অন্যতম ভয়াবহ দিন’ বলে বর্ণনা করেছেন। ২১ বছরের একজনকে আটক করেছে পুলিশ এবং সে একাই হামলা করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

মার্কিন মিডিয়ায় বলা হচ্ছে, সন্দেহভাজনের নাম প্যাট্রিক ক্রুসিয়াস। সে ডালাসের বাসিন্দা। সিসিটিভি ফুটেজে এক ব্যক্তিকে বন্দুকধারী হিসেবে দেখা যাচ্ছে এবং মিডিয়ায় বলা হচ্ছে গাঢ় টি-শার্ট পরা স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র হাতে ব্যক্তি হামলা করেছে।

বন্দুকধারীর প্রথম হামলার তথ্য পাওয়া যায় স্থানীয় সময় শনিবার সকাল ১০টায়। পুলিশ জানায়, হামলার সময় ওয়ালমার্টের দোকানটিতে ক্রেতাদের ভিড় ছিল। হামলার আগে সে সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছু পোস্ট করেছে যাতে প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে সে অভিবাসনবিরোধী এবং শ্বেতাঙ্গ জাতীয়তাবাদী। এজন্য হামলাকে বর্ণবিদ্বেষী বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে বিস্তারিত জানতে তদন্ত করছে পুলিশ।

ভিডিও ফুটেজে পাওয়া বন্দুকধারীর ছবি।

ওহাইওতে প্রাণ গেল বন্দুকধারীসহ ১০ জনের টেক্সাসে হামলার প্রায় ১৩ ঘণ্টার ব্যবধানে ওহাইওর ডেটনে বন্দুকধারীর গুলিতে ৯ জন নিহত এবং ১৬ জন আহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে সেখানকার পুলিশ। স্থানীয় সময় রাত ১টায় শহরের ওরেগন অঞ্চলের ‘ই ফিফথ স্ট্রিট’এর নেড পেপার্স পানশালার বাইরে গুলির ঘটনাটি ঘটে।

স্থানীয় মিডিয়া জানিয়েছে, আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সহকারী পুলিশপ্রধান ম্যাট কার্পার জানান, ঐ সময় টহলরত পুলিশ বন্দুকধারীকে হত্যা করতে সক্ষম হন। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা ভিডিওতে গুলির শব্দ শোনা যায় এবং দলে দলে মানুষকে রাস্তা দিয়ে দৌড়াতে দেখা যায়। স্থানীয় পুলিশসহ এফবিআই হামলার তদন্ত করছে।

গত ২৮ জুলাই ক্যালিফোর্নিয়ার খাদ্য উত্সবে গুলি চালিয়ে তিন জনকে হত্যা করে এক শ্বেতাঙ্গ। যুক্তরাষ্ট্রের আধুনিক ইতিহাসে গতকালের হামলা ৮ম নৃশংস ও ভয়াবহ হামলা বলে পুলিশ জানিয়েছে। ১৯৮৪ সালে ক্যালিফোর্নিয়ার স্যান জিদরোতে হামলায় ২১ জন নিহত হয়েছিলেন।

প্রতিবাদ

প্রতিক্রিয়া হামলাকে কাপুরুষোচিত উল্লেখ করে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছেন, আমি আজকের এ বিদ্বেষমূলক হামলার নিন্দা জানাই এবং সবার পাশে আছি। তিনি টুইটার বার্তায় বলেন, এতো নিরপরাধ মানুষকে হত্যার কোনো যুক্তি থাকতে পারে না।

পোপ ফ্রান্সিস নিরপরাধ মানুষকে হত্যার কঠোর নিন্দা জানিয়েছেন এবং হতাহতদের জন্য প্রার্থনা করেছেন। এছাড়া শহরের মেয়র এবং ডেমোক্র্যাটরা হামলার কঠোর নিন্দা জানিয়েছেন। তারা অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইন কঠোর করার দাবি জানিয়েছেন।