যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে একটি ইসলামিক সেন্টার কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বৈষম্যের অভিযোগ এনেছেন জাবিন আহমেদ রুহি নামের এক নারী।
নারী হওয়ার কারণেই তাকে এই বৈষম্যের শিকার হতে হয়েছে বলে গত ২৯ এপ্রিল ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে অভিযোগ করেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত নিউ ইয়র্কের হাডসন শহরের ওই বাসিন্দা।
তিনি বলেন, স্থানীয় মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ হাডসনে এতদিন ভবনের বেজমেন্টে নামাজ আদায় করেছে। অবশেষে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের ২০ বছরের বেশি সময় পর নিজস্ব ইসলামিক সেন্টারের নির্মাণ কাজ শুরু করছেন তারা।
ফেসবুকে ওই নারী লিখেছেন, মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ছিল উল্লেখযোগ্য ঘটনা। আমি ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। আমার জন্য এটি খুবই উত্তেজনার ব্যাপার। এই স্থাপনা আমার এবং অনেকের জন্যই খুব গুরুত্বপূর্ণ।
কিন্তু এই আয়োজন থেকে তিনি এংব অন্য মুসলিম নারীদেরকে কিভাবে দূরে রাখা হয়েছে সেই প্রশ্নও তোলেন জাবিন।
স্ট্যাটাসে তিনি বলেন, কমিউনিটির অর্ধেকই যখন নারী সেখানে আমাদেরকে কর্তৃপক্ষ আয়োজনে অংশগ্রহণ করানোর ব্যাপারে কোনও গুরুত্বই দেয়নি। এমনকি প্রয়োজন-ই মনে করেনি।
জাবিন ফেসবুকে বলেন, ভাই ও বোনেরা সম্বোধন করে নারীদের কাছেও আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু পুরুষদেরকে স্পষ্ট বলে দেওয়া হলো, নারীরা ওই জমায়েতে অংশ নিতে পারবে না।
তিনি লিখেছেন, এটা খুবই হতাশার ব্যাপার যে, ইসলাম যেখানে সমতা, সম অধিকার এবং শান্তির কথা বলে সেখানে এটাকে শুধুমাত্র ভুলভাবে ব্যবহার করে ধর্মকে পুরুষদের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে।
জাবিন ফেসবুকে লিখেছেন, আমি আর চুপ থাকব না। এই কমিউনিটি সেন্টার যেমন অন্যদের, সেটা তো আমারও।
তিনি বলেন, হাডসন ইসলামিক সেন্টার ধর্ম, বর্ণ, বিশ্বাস, অবিশ্বাস, বয়স, লিঙ্গ, রাজনীতি, জাতীয়তা কিংবা সামাজিক মর্যাদার ঊর্ধ্বে। তার এই প্রতিবাদে কমিউনিটির অন্য মুসলিম নারীদেরও শামিল হওয়ার আহ্বান জানান জাবিন।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন স্থানীয় ইসলামিক সেন্টারের সভাপতি আব্দুল হান্নান। তিনি একটি সংবাদ মাধ্যমকে জানান, সীমিতসংখ্যক আসন থাকায় ওই অনুষ্ঠানে শিশু ও নারীদের অংশগ্রহণ না করার জন্য বলা হয়।