যাযাবর মিরাজ জানেন না পরের ম্যাচে কোথায় খেলবেন!

লেখক:
প্রকাশ: ১ বছর আগে

ছন্দে থাকা একজনের পক্ষেই এমন কিছু করা সম্ভব। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ক্রিজে গিয়েই খেলেন দারুণ এক কাভার ড্রাইভ। নবম বলে আফ্রিদিকে যে ড্রাইভ করেছিলেন তা চোখ ধাঁধিয়ে দিয়েছিল। পাঁচ বল পর ওয়াসিমকে কভার ড্রাইভে যে চার হাঁকান তাতে মনে হয়েছিল আরেকটি বড় ইনিংস তার ব্যাটেই আঁকা হচ্ছে। সেই পথেই ছিলেন তিনি।

 

ফিফটি তুলে এগিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু সাকিবের ধীর গতির ব্যাটিং ও লিটন নিজের উইকেট উপহার দিয়ে আসায় সব ভেস্তে যায় বাংলাদেশের ইনিংসে। লিটনের আউটের আগ পর্যন্ত শত স্ট্রাইক রেটে ব্যাটিং করা মাহমুদউল্লাহ সঙ্গী হারানোর পর থমকে যান। ৪৫ বলে ৪৬ রান করা মাহমুদউল্লাহ পরের ২৫ বলে করেন কেবল ১০ রান। সবমিলিয়ে ৭০ বলে ৫৬ রানের ইনিংসটি থেমে যায় আফ্রিদির দুর্দান্ত অ্যাঙ্গেল ডেলিভারিতে।

২৭৪ রান নিয়ে মাহমুদউল্লাহ এখন সবার শীর্ষে। গতকাল নেমেছিলেন পাঁচ নম্বরে।

 

পাকিস্তানের বিপক্ষের ম্যাচে মিরাজকে পাঠানো হয়েছিল আট নম্বরে। ২৫ রানের বেশি করতে পারেননি। আরও ভালো করার সুযোগ ছিল। কিন্তু ভুল শট খেলে মিরাজও ফেরেন হৃদয়ে জোড়াতালি দিয়ে।

এবার শুরু থেকেই ব্যাটিং অর্ডারে ব্যাটসম্যানরা ঘুরপাক খাচ্ছেন। আফগানিস্তানের বিপক্ষে জয়ের ম্যাচে তিনে নেমে ৫৭ রানের ইনিংস খেলেন মিরাজ। এরপর বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে মিরাজের স্কোর ৮, ৩০, ৩, ১১, ৩৫ ও ২৫। সব মিলিয়ে সাত ম্যাচে রান ১৬৯। ওপেনিং বাদে সব পজিশনেই খেলা হয়েছে তার।

 

শেষ দুই ম্যাচে কোন পজিশনে খেলবেন তা জানতে চাওয়া হয়েছিল। উত্তরে মিরাজ বলেছেন, ‘এটা টিম কম্বিনেশনের জন্য হয়। প্রতি ম্যাচের আগে ম্যানেজমেন্ট থেকে সিদ্ধান্ত হয় কে কোথায় খেলবে। এটা দলের জন্যই করা হয়। দল খারাপ করার জন্য এমন করা হয় না কিন্তু। যে ভালো খেলতে পারে, তাকেই সুযোগ দেওয়া হচ্ছে।’

দলের জন্য মিরাজ নিজের পছন্দের জায়গা ছেড়ে যেকোনো জায়গায় খেলতে প্রস্তুত আছেন, ‘আমরা কেউই ক্লিক করছি না। কাউকে দোষ দিতে চাই না। আমরা সবাই খারাপ করেছি। আলাদা করে বলতে চাই না ২-১ জন খারাপ খেলেছি। আমরা সবাই খারাপ করেছি, মেনে নিচ্ছি।’