যশোর কেশবপুর সহ দেশের অধিকাংশ এলাকায় ধানের বাম্পার ফলন,ঝড়-বৃষ্টির আতঙ্কে কৃষক

লেখক:
প্রকাশ: ৪ years ago

মোরশেদ আলম কেশবপুর যশোর প্রতিনিধি:: কেশবপুরে এবার ধানের ভালো ফলন দেখা দিলেও ঝড়- বৃষ্টির আতঙ্কে কৃষক, দুদিনের বৃষ্টিতে পানিতে ভাসছে ধান, গত বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার দুদিনের বৃষ্টিতে, ফসলের ক্ষতি মাঠের অনেক কৃষকদের ধান পানিতে ভাসতে দেখা গেছে। যার কারণে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে পড়ার আশংকায় ভুগছে।

ইতিপূর্বে মাঠের পাকা ধান কাটা কাজে, পুরুষের পাশাপাশি নারীরা ধান কেটে ঘরে তুলতে পেরেছে। অনেক কৃষকরা তাদের ধান মাঠে থেকে যাওয়ার ফলে, বৃষ্টির পানিতে ভাসতে দেখা গেছে। কৃষকরা সময় মতো জমিতে সার, কীটনাশক ব্যবহার করার ফলে, ইতিপূর্বে কিছু কৃষকদের মাঠের প্রায় ধান পাক ধরতে দেখা যায়।

আর প্রকৃতি দুর্যোগ না হলে বাকি কৃষকরা সময় মতো ক্ষেতের ধান কেটে, ঘরে তুলতে পারবে বলে তারা আশা প্রকাশ করেছেন। কেশবপুর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এবার উপজেলায় ১৩ হাজার ৩ শত ৫০ হেষ্টর জমিতে, বিভিন্ন জাতের ধান চাষ করেছে কৃষকরা। আগামী ১০/১৫ দিনের মধ্যে মাঠের ধান কাটা শেষ হবে বলে কৃষকরা জানান।

উপজেলার ত্রিমোহিনী, সাগরদাঁড়ি. মজিদপুর,বিদ্যানন্দকাটি,মঙ্গলকোট,কেশবপুরসদর,পাঁজিয়া,সুফলাকাটি,গৌরঘোনা,হাসানপুর সাতবাড়িয়া ইউনিয়ন ও কেশবপুর পৌর শহর ঘুরে দেখা গেছে মাঠের চারদিকে ধান আর ধান যেন অপরূপ রূপে দুলছে।

ভোগতী নরেন্দপুর গ্রামের কৃষক ফজলু সরদার সাংবাদিকদের জানান,আমি ১ বিঘা জমিতে ধান রোপন করেছি। প্রায় ১৫ হাজার টাকা খচর হলেও, ২৫ মণ ধান পাওয়ার আশা ছিল, কিন্ত বৃষ্টিতে আমার কিছু ধান মাঠে থাকার কারণে আমি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছি। মূলগ্রামের নিরাজ্ঞন দাস,ব্রক্ষকাটি গ্রামের আব্দুল হাকিম সরদার,বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের বিল্লাল হোসেন,রামচন্দ্রপুর গ্রামের নূরু ইসলাম,সুজাপুর গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক মোড়লসহ অনেক কৃষক জানান, ইরি ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভব্যনা দেখা দিলেও। বৃষ্টিতে সমস্যার পরও, আর বৃষ্টি না হলে ক্ষতি পুষিয়ে নেয়া সম্ভব।

আমরা সময় মতো ক্ষেতের ধান কেটে ঘরে তুলতে পারব,দামেও ভালো পাবো বলে আশা করছি। তবে বৃষ্টির কারণে অনেক কৃষকদের ধান পানিতে তলিয়ে গেছে । তাদের মাঠের ধান কাটতে সময় লাগবে ১০ থেকে ১২দিন। বৃষ্টির আগে শ্রমিকরা ধান কাটতে তাদের শ্রাম দিতে, হতো ৭ থেকে ৮ শত টাকা। এবার তার দিগুন বেড়ে গেছে শ্রমিকদের শ্রামের দাম।

এ ব্যপারে উপজেলা কৃষি অফিসার মহাদেব চন্দ্র সানা বলেন, কৃষকরা সময় মতো জমিতে সার কীটনাশক ব্যবহার করার ফলে, ধানের বাম্পার ফলন দেখা দিয়েছে। প্রকৃতি দুর্যোগ না হলে কৃষকরা ক্ষেতের ধান কেটে ঘরে তুলতে পারবে। তবে দুদিনের বৃষ্টিতে কৃষকদের ধান পানিতে ভাসার কারণে ধানের কালার নষ্ট হয়ে গেছে। এখনো পর্যন্ত মাঠের ৪ ভাগের ৩ ভাগ কৃষকদের ধান মাঠে রয়েছে। বৃষ্টির পানিতে তেমন কোন ক্ষতি হয়নি, আর ঝড় বৃষ্টি না হলে ক্ষতি পুষিয়ে নেয়া সম্ভব।