চলতি বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষায় যশোর শিক্ষা বোর্ডে জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়লেও কমেছে পাসের হার। যশোর বোর্ডে গতবারের তুলনায় পাসের হার কমেছে প্রায় ৪ শতাংশ। অন্যদিকে জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে কমপক্ষে তিন হাজার।
যশোর শিক্ষা বোর্ডে এ বছরের পাসের হার ৭৬ দশমিক ৬৪ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯ হাজার ৩৯৫ জন শিক্ষার্থী। গত বছর পাসের হার ছিল ৮০ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ। গতবার জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৬ হাজার ৪৬০ জন শিক্ষার্থী। যশোর শিক্ষা বোর্ডে পাসের হারে মেয়েরা ও জিপিএ-৫ পাওয়াতে ছেলেরা এগিয়ে রয়েছে। ৫ হাজার ১৮ জন ছেলে পেয়েছে জিপিএ-৫। আর মেয়ের সংখ্যা ৪ হাজার ৩৭৭ জন।
যশোর শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মাধব চন্দ্র রুদ্র বলেন, ‘মানবিক বিভাগের পরীক্ষার্থীরা এ বছর গণিতে ভালো করতে পারেনি। যার প্রভাব পড়েছে গোটা বোর্ডের পাসের হারে। এ কারণে পাসের হার কিছুটা এ বছর কমে গেছে। তবে গত বছরের তুলনায় এ বছর জিপিএ-৫ বেড়েছে।’
জিপিএ-৫ বেড়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বলেন, যশোর শিক্ষা বোর্ডে এ বছর মাধ্যমিক পরীক্ষায় প্রাক-নির্বাচনী ও নির্বাচনী পরীক্ষা প্রশ্নব্যাংকের প্রশ্নপত্রে সম্পন্ন করা হয়েছে। ওই ব্যাংকের প্রশ্নপত্র মূল পাঠ্যবই থেকে প্রস্তুত করা হয়। যে কারণে ভালো শিক্ষার্থীরা মূল বই পড়তে বেশি আগ্রহী হয়েছে। এতেই তুলনামূলক ভালো শিক্ষার্থীরা জিপিএ-৫ পাওয়ার দৌড়ে এগিয়ে গেছে।
যশোর শিক্ষা বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, এই শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এ বছর ১ লাখ ৮৩ হাজার ৫৮৫ হাজার শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়। সব বিষয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে ১ লাখ ৪০ হাজার ৬৯৯ জন।
ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, গণিত বিষয়ে এ বছর ৮৫ দশমিক ৮০ শতাংশ শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছে; যা গত বছর ছিল ৯০ শতাংশ। মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থীরা গণিতে বেশি খারাপ করেছে। মানবিকে পাসের হার ৬৭ শতাংশ। এ কারণে মোট পাসের হার কমে গেছে। তবে বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা গণিতে ভালো করেছে। ফলে জিপিএ-৫-এর সংখ্যা বেড়ে গেছে।
শতভাগ ও শূন্য শতাংশ পাসের প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা কমেছে
এ বছর যশোর শিক্ষা বোর্ডের অধীনে একটি প্রতিষ্ঠান থেকে কেউ পাস করেনি। প্রতিষ্ঠানটি হচ্ছে মেহেরপুরের গাংনি উপজেলার এসকেআরএস মাধ্যমিক বিদ্যালয়। এ প্রতিষ্ঠান থেকে মাত্র তিনজন পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। কিন্তু কেউ কৃতকার্য হতে পারেনি। বোর্ডে গত বছর শূন্য শতাংশ পাসের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছিল দুটি।
এ বছর শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৭৩টি। গত বছর এমন প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা আরও বেশি ছিল। হিসাবে দেখা গেছে, প্রতিবছরই শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা কমছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মাধব চন্দ্র রুদ্র বলেন, প্রশ্ন ফাঁসের গুজবে পরীক্ষার্থীরা প্রশ্নপত্র সংগ্রহে বেশি সময় দিয়েছে। পড়ার প্রতি তারা আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। এ কারণে শতভাগ পাসের হারে কিছুটা প্রভাব পড়েছে এবং শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যাও কমেছে।
© স্বত্ব আর্থটাইমস্ ২৪.কম
প্রকাশক ও সম্পাদক: মোঃ জাকারিয়া আলম (দিপু)
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ:বরিশাল-৮২০০।
আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:::
নিউজ মেইল:::
earthtimes24@gmail.com(নিউজ)
news@earthtimes24.com(নিউজ)
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
২০১৭ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত earthtimes24.com