উৎপাদিত দুধের মোড়কে উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য না থাকায় যশোরের এক দুগ্ধ খামারকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বুধবার দুপুরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নূরুল ইসলাম ও কাজী নাজিব হাসান এ অভিযান চালান। পাশাপাশি ভ্রাম্যমাণ আদালত উপশহরের ‘স্বপ্ন হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট’ নামে একটি প্রতিষ্ঠানকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
আদালতের পেশকার শেখ জালাল উদ্দিন জানান, যশোর সদরের রামনগরস্থ এনজিও আরআরএফ পরিচালিত দুগ্ধ খামারটিতে গরুর দুধ প্যাকেটজাত করে সংরক্ষণ করা হয়। কিন্তু মোড়কে উৎপাদনের তারিখ, সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য, পরিমাণ এবং মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ নেই। প্যাকেটজাত দুধ কত তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করতে হবে তাও উল্লেখ করা হয়নি। যা ২০০৯ সালের জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনের ৩৭ ধারার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এই অপরাধে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নূরুল ইসলাম আরআরএফের হিসাবরক্ষণের দায়িত্বে থাকা ম্যানেজার হরিদাশ বিশ্বাসকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করে তা আদায় করেন।
অন্যদিকে, উপশহরের স্বপ্ন হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টে আদালত নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ দেখতে পান। রেস্তোরাঁটির ফ্রিজে কাঁচা ও রান্না মাংস একইসঙ্গে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। এছাড়া পচা বাসি খাবার সংরক্ষণ করে তা বাজারজাত করা হচ্ছে। এই অপরাধে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাজী নাজিব হাসান প্রতিষ্ঠানটিকে ২০০৯ সালের জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনের ৫১ ধারায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা করে তা আদায় করেন।
আদালত চলাকালে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর যশোরের সহকারী পরিচালক সোহেল শেখ ও পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।