পলাতক মো. সুজন রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রামের রণজিত মল্লিকের ছেলে। তিনি যশোর শহরের বারান্দি মোল্লাপাড়া আমতলা এলাকায় ভাড়া বাড়িতে থাকতেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কোতোয়ালি থানায় দায়ের করা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের একটি মামলায় সুজনকে আদালতের মাধ্যমে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। তিনি জ্বর, সর্দি, কাশি ও গলাব্যথায় আক্রান্ত হন। চিকিৎসার জন্য ১০ এপ্রিল সন্ধ্যায় তাঁকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাঁকে করোনাভাইরাসের চিকিৎসার জন্য চালু করা আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেয়।
করোনাভাইরাসের লক্ষণ থাকায় আইইডিসিআরের কর্মীরা সুজনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠান। এরই মধ্যে গতকাল রাত পৌনে ১০টার দিকে হাসপাতালের নার্স আইসোলেশন ইউনিটের কেবিনে গিয়ে দরজায় টোকা দেন। ভেতরে কারও কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে তিনি নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যদের ডাকেন। পুলিশ সদস্যরা কেবিনের দরজা ভেঙে দেখতে পান, ভেতরে ওই হাজতি নেই। কেবিনের পেছনের জানালার গ্রিল ভাঙা।
যশোর পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তৌহিদুল ইসলাম বলেন রাত ১২টার দিকে হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন ইউনিটে চিকিৎসাধীন হাজতি সুজন হ্যান্ডকাপ পরা অবস্থায় পালিয়ে গেছেন। করোনা শনাক্তের জন্য তাঁর নমুনা সংগ্রহ করেছেন স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীরা। হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে হাজতির নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।