ডিয়েগো ম্যারাডোনাকে শেষ বিদায় জানানোর জন্য বুয়েন্স আয়ার্সের রাস্তায় ও প্রেসিডেন্সিয়াল প্যালেসের বাইরে হাজার হাজার ভক্ত ভিড় করেছিলেন। আত্মীয়-স্বজন ও কাছের বন্ধু ছাড়া আর্জেন্টাইন ফুটবল গ্রেটকে শেষবার দেখার সুযোগ পাননি কেউ। কিন্তু লুকিয়ে তার মৃতদেহের সঙ্গে ছবি তুলেছেন তিন সৎকারকর্মী এবং তা সোশ্যাল মিডিয়ায় হয়েছে ভাইরাল। এ ঘটনায় কর্তৃপক্ষ ছাঁটাই করেছে এক কর্মীকে।
ম্যারাডোনার মৃতদেহের সঙ্গে দুটি ছবি তুলেছেন তিনজন। একজনের পরিচয় শনাক্ত করা গেছে। ডিয়েগো মলিনা নামের ওই কর্মীকে ছাঁটাই করা হয়েছে। ছবিতে দেখা যায় কফিনে শোয়ানো ম্যারাডোনার মাথায় একটি হাত রেখে অন্য হাত দিয়ে থাম্বস আপ করছেন মলিনা। দ্বিতীয় ছবিতে আরও দুজন কর্মীকে একই ভঙ্গিতে দেখা যায়।
বুয়েন্স আয়ার্সের ম্যারাডোনার সৎকারের কাজ করেছে সেপেলিওস পিনিয়ের নামরে সংস্থা। এর ম্যানেজার ডিয়েগো পিকন দাবি করেন, ওই তিনজন কর্মী তাদের নয়। প্রেসিডেন্সিয়াল প্যালেসে ম্যারাডোনার মরদেহ নিয়ে যাওয়ার আগে ছবি তোলেন তারা। পিকন বলেন, ‘আমার বাবার বয়স ৭৫, তিনি এখনও কাঁদছেন। আমি আমার ভাইও। আমরা বিধ্বস্ত। তিনি (মলিনা) আমাদের এখানকার কর্মী নয়। থার্ড পার্টির কেউ ছিলেন, কফিন ভারী হওয়ায় তাদের কাছে সহায়তা চাওয়া হয়েছিল।’
এই ঘটনাকে ম্যারাডোনার প্রতি চূড়ান্ত অসম্মানের বহিঃপ্রকাশ বলেছেন তার আইনজীবী মাতিয়াস মোরলা। মলিনার বিপক্ষে আইনি পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছেন তিনি, ‘আমার বন্ধুর শেষ স্মৃতি রক্ষা করতে আমি ততক্ষণ শান্ত হবো না, যতক্ষণ না এই ঘৃণ্য কাজ করা ব্যক্তির সমুচিত শাস্তি হচ্ছে।’
বৃহস্পতিবার শেষকৃত্যের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে প্রেসিডেন্সিয়াল প্যালেস কাসা রোসাদা থেকে ম্যারাডোনাকে নেওয়া হয় বেল্লা ভিস্তা সিমেট্রিতে। সেখানেই বাবা-মার পাশে দাফন করা হয় তাকে।