বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ, অধিদফতর, পরিদফতরে প্রেষণে নিয়োজিত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের সঙ্গে সভায় বসছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব, মুখ্য সচিবসহ প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা।
আগামী ৭ নভেম্বর (শনিবার) বিকেল ৩টায় বিসিএস প্রশাসন একাডেমির অডিটোরিয়াম মিলনায়তনে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
মঙ্গলবার (৩ নভেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক সভার নোটিশ থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব শেখ ইউসুফ হারুনের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমেদ কায়কাউস।
আরও উপস্থিত থাকবেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তাফা কামাল উদ্দীন, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম গোলাম সারওয়ার, ঢাকা বিভাগের কমিশনার (অতিরিক্ত সচিব) মো. মোস্তাফিজুর রহমান।
সভার আলোচ্যসূচির বিষয়ে জানতে চাইলে জনপ্রশাসন সচিব শেখ ইউসুফ হারুন বলেন, ‘সভায় আমরা ম্যাজিস্ট্রেটদের সঙ্গে মতবিনিময় করব। তাদের সঙ্গে সাধারণত আমাদের মতবিনিময় হয় না। এজন্য সিনিয়র কর্মকর্তারা তাদের সঙ্গে বসছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘তাদের (ম্যাজিস্ট্রেটদের) কোনো অসুবিধা আছে কি-না, তা আমরা জানতে চাইব। আমাদেরও কিছু নির্দেশনা থাকবে তাদের জন্য।’
ম্যাজিস্ট্রেট হচ্ছেন আইন প্রয়োগ ও বিচারিক দায়িত্বপালনকারী একজন সরকারি কর্মকর্তা। বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হন। কর্মক্ষেত্রে তারা ব্যাপক নির্বাহী এবং সীমিত বিচারিক ক্ষমতা ভোগ করেন। ‘কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউর ১৮৯৮’, ‘পেনাল কোড ১৮৬০’, ‘পুলিশ রেগুলেশন ১৯৪৩’ এবং অন্য আরও অপরাধ দমন আইনের বিভিন্ন ধারায় তাদের নানা ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা আইন রক্ষা, নির্দেশ দান, বিভিন্ন সামাজিক সমস্যায় (যেমন- খাদ্যে ভেজাল, ইভটিজিং, মাদকদ্রব্য চোরাচালান, সরকারি সম্পত্তি বেদখল প্রভৃতি) সুবিচার নিশ্চিতে মোবাইল কোর্ট বা ভ্রাম্যমাণ আদালত (মোবাইল কোর্ট আইন ২০০৯, ধারা ৫) গঠনের ক্ষমতা রাখেন।