এই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই দুর্দান্ত ধারাবাহিকতা দেখিয়েছিলেন। তিন ওয়ানডের মধ্যে দুটিতেই করেছিলেন সেঞ্চুরি। এর মধ্যে আবার একটি ইনিংস বাংলাদেশের ওয়ানডে ইতিহাসেরই সেরা (১৭৬)।
কিন্তু গত বছরের মার্চে ঘরের মাঠে এমন এক ইনিংস খেলার পর হঠাৎ যেন হারিয়ে যান লিটন দাস। তিন ম্যাচে দুই সেঞ্চুরি করা সিরিজের পরের আট ইনিংসে ত্রিশের ঘরও ছুঁতে পারেননি মারকুটে এই ব্যাটসম্যান।
অবশেষে রানে ফিরলেন। সেটাও আরেক সেঞ্চুরি দিয়ে, পছন্দের প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। এবার অবশ্য ঘরের মাঠে নয়। নয় রানবানের উইকেটে। বরং কঠিন সময়ে প্রতিকূল পরিবেশে দাঁড়িয়ে সেঞ্চুরি করেছেন লিটন। যার সেঞ্চুরিতে ভর করেই জিম্বাবুয়েকে উড়িয়ে দিয়ে ওয়ানডে সিরিজ শুরু করেছে বাংলাদেশ।
মাঝে রান খরায় ছিলেন, রানে ফিরলেন আবার। অনুভূতি কেমন? লিটন জানালেন, রান করার কথা সবসময়ই মাথায় থাকে। কিন্তু গত বছরের মার্চের পর করোনার কারণে খেলা বন্ধ না হলে হয়তো এমন ছন্দপতন হতো না।
টাইগার ওপেনার বলেন, ‘আমার চাওয়া তো সবসময়ই রান করা। শুধু আমি না, প্রতিটা ব্যাটসম্যানই চাইবে যখনই ক্রিজে যায় রান করবে। কোভিডের আগে আমি একটা ভালো ধারাবাহিকতা পেয়েছিলাম, ওই সময় কোভিড না হয়ে যদি স্বাভাবিক খেলা চলতো তাহলে হয়তবা সুযোগ ছিল ভাল পারফর্ম করার। কারণ ওই সময় আমার পিক টাইম চলছিল।
লিটন যোগ করেন, ‘কোভিডের পর আন্তর্জাতিকে ফেরাটা একটু কঠিন হয়ে গেছে। কারণ মাথায় অনেক চিন্তা ছিল যে পারফর্ম করতে হবে, পরিস্থিতিও কঠিন ছিল। এভাবে দেখতে দেখতে আটটা ইনিংস গেছে। চেষ্টা করেছি যত ইনিংসই খেলিনা কেন, যেন ভাল করতে পারি, দলকে কিছু দিতে পারি। পাশাপাশি বড়রা সমর্থন দিয়ে গেছেন, পরিবার বিশেষ করে ওয়াইফের কাছ থেকে সমর্থন এসেছে।’