মোহাম্মদ ইমামুল ইসলামের কবিতা “পাথুরে নিস্তব্ধতা”

লেখক:
প্রকাশ: ৪ years ago

পাথুরে নিস্তব্ধতা
মোহাম্মদ ইমামুল ইসলাম

———————————-
নিস্তব্ধতা, তুমি কি শুধুই ক্ষণিকের প্রহর?
স্থবিরতার গলুই ঘেঁষে জমানো কষ্টের স্রোত,
অনবরত বয়ে চলে উল্টো কোনো এক বক্রপথে।
‍ক্রমাগত অনুকূলে চলা বর্ধিষ্ণু কষ্টের
সহনশীল ক্ষয়িষ্ণুতার নমনীয়তার বেগহীন ভাবাবেগ,
আমাকে ঠেলে দেয় অনুভূতিহীন ভারী পাথরটি বহনের।

যোজন বিয়োজনের মাঝপাল্লার ভারি পাথরটি,
স্থানান্তরের মনোদৈহিক দ্বান্দ্বিক প্রচেষ্টার ভরাবেগ,
লণ্ডপণ্ড করে দিয়েছে নিছক বোঝাপারার কোনো বিন্দুকে।
হারজিতের এ ভারি পাথরটি স্কন্দে বহনের
এই কঠিন আসরে বারংবার হারি আর বহন করি।
হৃদয়ের চিনচিন ব্যথাগুলোর তীব্র চিৎকারে
পরিপার্শের নিস্তব্ধতার চৈতন্য ক্ষীপ্র মেজাজে জেগে উঠে।
আমি চেতনে নিস্তব্ধতায় ডুবি, আর অচেতনে চৈতন্যে জাগি,
আর তুমি চেতনে চৈতন্য, অচেতনে নিস্তব্ধ।
ছোট্ট ছোট্ট ছন্দহীন ব্যথাগুলো ভাসিয়ে দাও অনুকূল স্রোতে;
স্রোতের অবগাহনে সতেজ তুমি, কষ্টের নুড়িগুলো নেই বলে।
আর আমি ভারি ভারি কষ্টগুলো দিয়ে বিবর্ণ ছন্দোময় মালা গাঁথি,
অবিরাম ছন্দোময় ভারি মালাগুলির পাথরগুলি গলায় পড়ে বহি।
ভারি পাথুরে মালাগুলোর সমন্বিত বৃহৎ মাল্যটি
অবিরত বহনে বহনে, আমি শূন্যহীন, তীব্র ভারি আমি;
আমি নিরেট, নিঃশঙ্ক ও নিস্তব্ধ এক অনুভূতিহীন পাথুরে কষ্টি।

মিরপুর – ১,ঢাকা
২০/৪/২০
রাত-দু’টা পঞ্চান্ন মিনিট